ই-পেপার শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

খুব শীঘ্রই রাজশাহী কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন
প্রকাশ: রবিবার, ৭ জুলাই, ২০১৯, ১২:০২ পিএম  (ভিজিট : ৩০৭)
ছাত্রদের মধ্যে রাজনৈতিক চিন্তা চেতনার বিকাশ এবং ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক কর্মধারার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্যই ছাত্র সংসদ নির্বাচন এবং নেতৃত্বের ধারণা প্রদান। তৎপ্রেক্ষিতে চলতি বছরেই রাজশাহী কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান।

রবিবার সকাল ১১টার দিকে এতথ্য নিশ্চিত করেন রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান।

অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান জানান, ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে এইচএসসি অ্যালামনাই অনুষ্ঠানের পর পৃথক পৃথক ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনায় বসব। সংগঠনগুলোর সহাবস্থান নিশ্চিত করে নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলে চলতি বছরের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষ।

অধ্যক্ষ জানান, আর এই খাতের প্রায় ৬৭ লাখ টাকা অব্যয়িত অবস্থায় আছে। আমরা চাই এমন ছাত্র সংসদ আসুক, যারা কলেজের শিক্ষার মানোন্নয়নে আমাদেরকে তাড়িত করবে। আর এমন কোন নির্বাচন চাই না, যেটা এককেন্দ্রিক ও প্রশ্নবিদ্ধ হয়। কলেজের সকল ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ি কলেজের অধ্যক্ষ ক্ষমতাবলে ছাত্র সংসদের সভাপতি, শিক্ষার্থীদেও প্রত্যক্ষ ভোটে একজন ভিপি (সহসভাপতি), জিএস (সাধারণ সম্পাদক) ও অন্যান্য পদের জন্য সদস্য নির্বাচিত হবেন।

এক বছর মেয়াদী ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হবার কথা। তবে ১৯৯১ সালের পর দীর্ঘ ২৭ বছর রাজশাহী কলেজে আর ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। স্বাধীনতার পর রাজশাহী কলেজ ছাত্র সংসদের প্রথম ভিপি নির্বাচিত হন নাটোর-৩ আসনের সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস। আর সবশেষ ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আবদুল হাদী রনি ভিপি ও মোহাম্মদ মাহাবুব জিএস নির্বাচিত হন।

এদিকে রাজশাহী কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন সময়ের দাবি উল্লেখ করে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন, ঐতিহ্যবাহী ও দেশসেরা কলেজে দীর্ঘদিন ছাত্র সংসদ নির্বাচন নেই। আমরা চাই, দ্রæতই শিক্ষার্থীরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার ফিরে পাবে।

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, কর্তৃপক্ষ বলেছিল ডাকসুর দিকে তাকিয়ে আছে। সেই নির্বাচনও হয়ে গেছে। যেহেতু প্রশাসন নির্বাচন নিয়ে ভাবছে, তাই সেদিকে এখনই নজর দেয়া জরুরি। এজন্য অতি দ্রæত ছাত্র সংগঠনগুলোর সাথে বসে আলোচনা করে সহাবস্থান নিশ্চিত করে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত হবে বলে মনে করেন তিনি।

কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মর্ত্তুজা ফামিন বলেন, শিক্ষকরাই ছাত্র সংসদ নির্বাচন চায় না। আর ছাত্র সংসদ খাতের টাকারও কোনো হিসাব নেই। এছাড়া ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক দলগুলোর সহাবস্থান নেই। আমরা দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্বাচন চাই। কিন্তু তার আগে সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।

দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, প্রশাসনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। অনেক সময় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের ব্যানারে ছাত্রদের দাবিগুলো নিয়ে কাজ করা সম্ভব হয় না। এজন্য ছাত্র সংসদ প্রতিনিধি প্রয়োজন, যারা ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কাজ করবে, কথা বলবে।

আমরা সকল রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণে নির্বাচন চাই। তবে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির কোন দল যেন এই নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, সে বিষয়টি প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে বলে জানান কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি।

তিনি আরো বলেন, এর আগে ছাত্র সংসদ নির্বাচনসহ টিএসসি নির্মাণের দাবিতে ২১ দফা দাবি নিয়ে কলেজ অধ্যক্ষ বরাবর একটি স্মারকলীপি প্রদান করা হয়েছে।


 
 




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close