প্রকাশ: শনিবার, ২০ জুলাই, ২০১৯, ১২:০০ এএম (ভিজিট : ১০৮)
রাজশাহী অঞ্চলের সর্বপ্রাচীন স্থাপত্য ঐতিহ্য ‘বড়কুঠি’। সুনির্দিষ্টভাবে এই ইমারতের নির্মাণকাল জানা না গেলেও অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে নির্মাণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এটি প্রথমে ওলন্দাজ বা ডাচদের ব্যবসা কেন্দ্র ছিল। ডাচ ব্যবসায়ীরা জরুরি সময়ে ইমারতটি দুর্গ হিসেবে ব্যবহার করত। এ জন্য ইমারতের ছাদে এবং নিচে বেশ কয়েকটি কামান শত্রæদের মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকত। এখানকার তিনটি পুরনো কামান এখনও রাজশাহী পুলিশ লাইনে সংরক্ষিত আছে। উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ডাচরা ভারতে তাদের কর্মকাÐ গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৮১৪ সালে ইংরেজদের সঙ্গে একটি চুক্তি করে বড়কুঠিসহ ভারতের সব ব্যবসা কেন্দ্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে হস্তান্তর করে। ১৮৩৩ সাল পর্যন্ত ইংরেজরা তাদের বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে বড়কুঠি ব্যবহার করে। ১৯৫৩ সালে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় (রাবি) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এটি বিশ^বিদ্যালয়ের প্রথম প্রশাসনিক ভবন হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারির পর বিশ^বিদ্যালয়ের ৪৯১তম সিন্ডিকেটে ‘বড়কুঠি’ মন্ত্রণালয়ের কাছে মালিকানা হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রথম থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন মহল। ইতোমধ্যে রাবির প্রথম প্রশাসনিক ভবন ‘বড়কুঠি’ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাছে মালিকানা হস্তান্তর বিষয়ে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।