কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় স্কুলছাত্রী স্মৃতি আক্তার রীমাকে অপহরণ করে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। নিহত রীমার মা আঙ্গুরা খাতুন বাদী হয়ে চার যুবকের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে আসামি করে শুক্রবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের জন্য পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মামলার আসামিরা হলো পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী গ্রামের খুশিদ মিয়ার ছেলে জাহিদ (২০), একই গ্রামের রুবেলের ছেলে পিয়াস (১৮), ফারুক মিয়ার ছেলে রুমান (২০) ও কফিল উদ্দিনের ছেলে রাজু মিয়া (১৮)।
এদিকে, মামলা দায়েরের পর আসামির আত্মীয়রা নিহত রীমার মাসহ আত্মীয়-স্বজনকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী নিহত রীমার মা আঙ্গুরা খাতুন ও মামা মুসলিম। মামলায় বিবরণে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার মেয়ে রীমাকে নিয়ে নিজের অসুস্থ মাকে দেখতে আসেন আঙ্গুরা খাতুন। বুধবার রাতে টয়লেটে যাওয়ার জন্য তার মেয়ে রীমা ঘরের বাইরে গেলে আসামিরা মেয়েটিকে অপহরণ করে পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যা করে।
এদিকে রীমাকে ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে হোসেনপুরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে হোসেনপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। হোসেনপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় আয়েজিত মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, নিহতের পরিবার ও এলাকার মানুষ এতে অংশ নেয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের সহপাঠীকে ধর্ষণ ও হত্যার জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানায়। এ সময় বক্তৃতা করেন হোসেনপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল, হোসেনপুর পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাজী আছমা বেগম, নিহত রীমার মা আঙ্গুরা খাতুন, ছোটভাই মাসুদ, মামা মুসলিম প্রমুখ।বুধবার রাতে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী এলাকায় নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে গণধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন পাশর্^বর্তী হোসেনপুর উপজেলার জামাইল গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের মেয়ে ও হোসেনপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী স্মৃতি আক্তার রীমা। বৃহস্পতিবার সকালে নানা বাড়ির পেছনে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ‘এটি একটি স্পর্শকাতর মামলা। আসামিদের গ্রেফতারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।