প্রকাশ: রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৯, ১২:০০ এএম (ভিজিট : ১৬৩)
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার পাট চাষিরা এখনও সনাতন পদ্ধতিতেই পাট জাগ দিচ্ছেন। পুকুর, বিল ও ডোবায় কাদা মাটি দিয়ে পাট জাগ দেওয়ায় একদিকে যেমন পাটের গুণগত মান কমে যাচ্ছে তেমনি এর দুর্গন্ধে আশপাশের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা পাট চাষিদের পাট জাগ বা পাট পচানোর আধুনিক পদ্ধতি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিলেও কৃষকরা মানতে নারাজ।
উপজেলা কৃষি অফিসে সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ১৮৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। অনুক‚ল আবহাওয়ায় পাটের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের আধুনিক পদ্ধতিতে পাট জাগ দেওয়ার প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিলেও চাষিরা তা মানছেন না। তারা পূর্বপুরুষদের মতো সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ দিচ্ছেন। এতে উৎপাদিত পাটের রঙ কালো ও গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে পাট পচা পানির দুর্গন্ধে আশপাশের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।
যাদবপুর গ্রামের পাটচাষি সিরাজুল ইসলাম জানান, স্থানীয় কৃষি অফিস পলিথিন, বালু ও বস্তাভর্তি ইট দিয়ে পাটজাগ দেওয়ার পরামর্শ দিলেও এ পদ্ধতি ব্যয়বহুল হওয়ায় চাষির পক্ষে এটি করা সম্ভব নয়। একই অসুবিধার কথা জানালেন বেড়বাড়ী গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও রতনপুর গ্রামের সাইফুল ইসলা মিয়া।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, পাট চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হলেও তারা নানা অজুহাতে মানতে নারাজ। সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ দেওয়ায় পাটের রঙ বিবর্ণ হয়ে যায়। এতে চাষিরা তাদের উৎপাদিত পাটের কাক্সিক্ষত মূল্য থেকে বঞ্চিত হন।