ই-পেপার শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ময়মনসিংহে চামড়া নিয়ে বিপাকে ফড়িয়া ও মৌসুমী ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা
প্রকাশ: বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৯, ৮:১৯ পিএম  (ভিজিট : ২২০)

দাম পড়ে যাওয়ায় চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মৌসুমী চামড়ার ব্যবসায়ি, ফড়িয়া ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা। ট্যানারি মালিকরা চামড়া কিনতে ময়মনসিংহের বাজারগুলোতে না আসায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা। সময়মতো  চামড়া বিক্রি করতে না পারলে পুঁজি হারানোর আশঙ্কা করছেন এসব ব্যবসায়িরা। এহেন পরিস্থিতিতে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় বাধ্য হয়ে অনেকে কম দামেই চামড়া বিক্রি করে দিচ্ছেন। তবে কমদামে সংগ্রহ করা চামড়ায় লবণ দিয়ে স্ত‚প করে সংরক্ষণ করে রাখছেন আড়ৎদাররা।

ঈদের দিন থেকে ময়মনসিংহ নগরীর সেহেড়া চামড়া গুাদাম ও শম্ভুগঞ্জে শুরু হয়েছে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের সর্ব বৃহৎ চামড়ার বাজার। শম্ভুগঞ্জের বাজার থেকে ঢাকার ট্যানারি মালিকরা সরাসরি চামড়া কিনতে আসেন বলে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও বৃহত্তর ময়মনসিংহের কয়েক হাজার ফড়িয়া, আড়ৎদার ও মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা এই বাজারে চামড়া বিক্রি করতে ছুটে আসেন। কিন্তু এবছর চামড়ার দাম পড়ে যাওয়ায় এবং ট্যানারি মালিকরা না আসায় কেনা মূল্যের চেয়েও কমদামে লোকসান দিয়ে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে তারা। চামড়া ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আড়ৎদার ও ট্যানারি মালিকরা সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম কমিয়েছেন এবং চামড়া ক্রয় করছেন না।

স্থানীয় ব্যবসায়িরা জানান, প্রতি বছর শম্ভুগঞ্জ বাজারে দুই থেকে তিন লাখ পিস চামড়া কেনা-বেচা হয়।

বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের টাঙ্গাইল, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, শেরপুর জেলা ছাড়াও সিলেট, সুনামগঞ্জ ও গাজীপুরসহ প্রত্যন্ত এলাকার চামড়া ব্যবসায়ীরা চামড়া নিয়ে ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ বাজারে আসেন। কিন্তু এবার ভালো দাম না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।

শম্ভুগঞ্জ বাজারের চামড়া ব্যবসায়ী মো. জহিরুল হক বলেন,  ‘ফড়িয়া ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা গ্রাম থেকে চামড়া সংগ্রহ করে পরিবহন খরচ দিয়ে এখানে বিক্রি করতে এসে প্রতিপিস চামড়ায় ক্রয় মূল্যের চেয়ে ২/৩শ’ টাকা কমে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে করে ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ীদের পুঁজি হারাতে হবে।’ সিন্ডিকেটের কারসাজিতে বিশ্ববাজারে অর্থনৈতিক মন্দার অজুহাত তুলে চামড়া পাচার করে দেয়ার পাঁয়তারা চলছে বলে মনে করেন চামড়া ব্যবসায়ী মো: জয়নাল আবেদীন। ট্যানারি মালিকরা চামড়ার সঠিক মূল্য না দিলে সীমান্ত পাড় হয়ে ভারতে পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

ঈদের দিন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা কোরবানিদাতাদের কাছ থেকে দুই থেকে পাঁচশ’ টাকা মূল্যে চামড়া কিনেছেন। এসব চামড়া বিক্রি করতে না পারায় লবণ ক্রয়, মাখানোর মজুরি ও পরিবহন করে বাজারে এনে বিক্রি করতে লোকশানের সম্মুখিন হয়েছেন। এতে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারাচ্ছেন।




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close