ই-পেপার শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪

আত্মবিশ্বাস নিয়ে ঢাকায় ফেরা
প্রকাশ: সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম আপডেট: ২৩.০৯.২০১৯ ১২:০৩ এএম  (ভিজিট : ১৫৩)
ফাইনালের আগে দুটো দিনের বিরতি, ওই বিরতির প্রথম দিনটাতে রাখা হয়নি অনুশীলন। তাই কোনো তাড়াহুড়া ছিল না টিম বাংলাদেশের। শনিবার রাতে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে বেশ আয়েশি ভাব নিয়েই টিম হোটেল রেডিসন ব্লুতে ফিরেছেন সাকিব-মুশফিকরা। রোববার খুব সকালে ঘুম থেকে জাগারও তাড়া ছিল না। টিম হোটেল থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর বেশ খানিকটা দূরের পথ হলেও টাইগারদের ঢাকায় ফেরার ফ্লাইট ছিল পৌনে এগারটার দিকে। তাই ধীরে-সুস্থেই ফেরার আয়োজন সাড়তে পেরেছে তারা।

ঘণ্টা খানেকের (৪০ মিনিট) বিমানযাত্রা শেষে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে টাইগাররা, বেলা ১২টার মধ্যে তারা পৌঁছে যায় টিম হোটেল সোনারগাতে। এদিন কোনো অনুশীলন ছিল না। মাঠমুখো হননি কেউ। যে যার মতো করে সময় কাটিয়েছেন। সবাই ছিলেন বেশ ফুরফুরে মেজাজে। থাকারই কথা, চট্টগ্রামপর্বের দুই ম্যাচেই যে শতভাগ সাফল্য ধরা দিয়েছে। তার থেকেও বড় কথা, কাটানো গেছে আফগান জুজু। টানা চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হারের পর শনিবার রশিদ খান-মোহাম্মদ নবীদের হারের তিক্ত স্বাদ দিতে পেরেছে সাকিব আল হাসানের দল।

মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনালে এই আফগানিস্তানেরই মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেই ফাইনালের ড্রেস রিহার্সেলে ৪ উইকেটের জয়, টাইগারদের আত্মবিশ্বাস এখন স্বভাবতই উত্তঙ্গ। তরুণ মোসাদ্দেক হোসেন তো বলেই দিলেন, টইটম্বুর আত্মবিশ্বাস নিয়েই শিরোপার লড়াইয়ে নামতে যাচ্ছে স্বাগতিকরা, ‘জয় সবসময়ই আত্মবিশ্বাস জোগায়। ওদের (আফগানিস্তান) কাছে আমরা অনেক ম্যাচ হেরেছি। তবে এখন ছন্দটা পেয়ে গেছি।’

শনিবার ম্যাচ শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হওয়া মোসাদ্দেক বলেছেন, ‘ফাইনালের আগে এমন একটা ম্যাচ জেতা খুব দরকার ছিল। তবে জিতেছি বলে আকাশে উড়ছি না। আবার হেরে গেলেও মাটিতে পড়ে যেতাম না। ফাইনালে যেকোনো কিছুই হতে পারে। তবে জয় সবসময়ই আত্মবিশ্বাসী করে।’ সেই আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করেই ফাইনালটাও জিততে চায় টাইগাররা, মোসাদ্দেক সেই চাওয়ার কথাও বললেন, ‘আগেই বলেছিলাম, একটু হিসেবি ক্রিকেট খেলতে হবে, সেটা গত দুই ম্যাচে আমরা খেলেছি। গত দুই ম্যাচে যেভাবে খেলেছি, এটা ধরে রাখতে পারলে ফাইনালে আশা করি ভালো কিছুই হবে।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচটা বাদ দিলে পুরো সিরিজে এখন পর্যন্ত সেভাবে একটা দল হয়ে খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। জয় ধরা দিয়েছে দুই-একজনের ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে। মোসাদ্দেককে সঙ্গী করে ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা যেমন জিতিয়েছিলেন আফিফ হোসেন। শনিবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে স্বাগতিকদের জয়টা এসেছে অধিনায়ক সাকিবের একক নৈপুণ্যে। একটা দলের জন্য বিষয়টা মোটেও ইতিবাচক নয়। কারণ ক্রিকেটটা দলীয় খেলা। দল হিসেবে পারফর্ম করতে না পারলে ধারাবাহিকভাবে সাফল্য পাওয়া সম্ভব নয়।

এই বাস্তবতা মানছেন মোসাদ্দেকও। যারা পারফর্ম করতে পারছেন না, তারা দ্রুত ছন্দে ফিরবে, এমন আশাবাদই ব্যক্ত করেছেন তিনি, ‘আমি মনে করি, সবারই অবদান রাখা উচিত। এটাও ঠিক, একসঙ্গে সবাই ভালো খেলা যায় না। দুই-তিনজন সফল হবে। তাই আমি মনে করি, যারা ভালো খেলছে তাদের ছন্দটা ধরে রাখা উচিত। যারা দুই-এক ম্যাচে ভালো করতে পারেনি, আশা করি তারাও ছন্দে ফিরবে।’

মোসাদ্দেকের আশাটা পূর্ণ হলে, মঙ্গলবারের ফাইনালে আরেকটি বহুজাতিক টুর্নামেন্টের শিরোপা উঠবে বাংলাদেশ দলের হাতে। যেটা এর আগে একবারই করে দেখাতে পেরেছে তারা, বিশ^কাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে।




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close