এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া। ২০১০ সালে ‘লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজে পা রাখেন তিনি। বিজ্ঞাপন, নাটক, উপস্থাপনা দিয়ে ইতোমধ্যেই দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেছেন টয়া। কাজ করছেন ইউটিউবেও। নিজের কাজ ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে দৈনিক সময়ের আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোহাম্মদ তারেক
সম্প্রতি একটি গানের কভার করে ইউটিউবে প্রকাশ করেছেন, কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
মাস্টার ডি’র ‘তুমি যাইও না’ পপুলার একটা গান। আমার ‘টয়া টিউব’ চ্যানেলটাও নতুন। সেখানে ড্যান্স কভার আপলোড করেছি। এখন পর্যন্ত ভালো সাড়া পাচ্ছি।
ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে কী পরিকল্পনা করছেন?
আমি নিজস্ব প্রোডাকশনের ভালো কিছু কনটেন্ট বানিয়ে ওখানে আপলোড করব। ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে বড় প্ল্যান আছে, ওগুলোর কাজ চলছে।
কথিত আছে ইউটিউবে মানহীন কাজও প্রচুর ভিউ পেয়ে যায়, বিষয়টি নিয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?
ইউটিউব একটি ফ্রি প্ল্যাটফর্ম। এখানে যে জিনিসটি দেখাবেন সেটিই মানুষ দেখবে। কেউ কেউ এটিকে ভালোভাবে ইউটিলাইজ করছে আর কেউ কেউ মনে করছে দেওয়ার আছে দিয়ে দেই। এটা যারা দিচ্ছে কিংবা যারা কনটেন্ট বানাচ্ছে তাদের দায়বদ্ধতা। মানহীন প্রোডাক্ট সব জায়গাতেই আছে। বাজারেই যেমন একই সঙ্গে মানসম্পন্ন ও মানহীন পণ্য বেচা হচ্ছে। সেটা আবার যাচাই করছে যথাযথ কর্তৃপক্ষ। ইউটিউবের ক্ষেত্রে তা হচ্ছে না। যেহেতু দায়বদ্ধতা সম্পূর্ণ নিজের, জবাবদিহিতার কোনো জায়গা নেই, সেহেতু এখানে সব ধরনের কনটেন্ট থাকবে। এটা মেনে নিতে হবে।
সম্প্রতি কী নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটছে?
ইরফান সাজ্জাদের সঙ্গে একটি খন্ড নাটকের শুটিং শুরু করেছি। জোভান, শাওনের সঙ্গেও খন্ড নাটকের কাজ করব। এ ছাড়া চ্যানেল আইয়ের জন্য একটি সিরিয়ালের কাজ করছি ‘সিম্পলের মধ্যে গর্জিয়াস’। কিছু করপোরেট শোর কাজও আছে।
মডেলিংয়েও আপনাকে পাওয়া যাচ্ছে...
মডেলিং আমার খুব একটা করা হয় না। আমি জানি না কেন আমার নামের পাশে মডেল অভিনেত্রী লেখা হয়। হঠাৎ হঠাৎ মডেলিং করা হয়।
উপস্থাপনা না অভিনয় কোন মাধ্যমকে বেশি ভালো লাগে?
শখে উপস্থাপনা করি। অভিনয়টাকে বেশি ভালো লাগে। নিজেকে অভিনেত্রী হিসেবে বলতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
সিনেমা নিয়ে কী ভাবছেন?
সিনেমা নিয়ে আপাতত কোনো কথা হচ্ছে না। যে ছবির কাজ করার কথা রয়েছে তা শুরু হতে হতে আগামী বছর হয়ে যাবে।
অভিনেত্রী সারিকার প্রাক্তন স্বামী মাহিমের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায়...
ও রকম কিছুই নেই, কখনই ছিল না। আমাদের তেমন দেখাও হয় না ঠিকমতো, কথা তো দূরের কথা। এ বিষয়ক সংবাদগুলো ব্যক্তিগত সম্পর্ক নষ্ট করে। যখন এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ হলো তখন আমাদের একসঙ্গে আড্ডা দেওয়া, ঘুরতে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেল। এতে করে আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্কটাও নষ্ট হয়ে গেল। আগে যেমন নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ হতো এখন সেটা আর হয় না।
বিয়ে নিয়ে কী পরিকল্পনা?
পরিবারের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। পারিবারিক সিদ্ধান্তেই হবে ইনশাআল্লাহ, খুব তাড়াতাড়ি।