ই-পেপার বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪

অবশেষে সড়ক থেকে স্থানান্তর হলো বৈদ্যুতিক খুঁটিসময়ের আলো পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ
চেয়ারম্যান বদলায় প্রতিশ্রুতি পূরণ হয় না
সেতুর অভাবে দশ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ
প্রকাশ: বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০০ এএম  (ভিজিট : ৯০)
‘নির্বাচন এলেই শুনি বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে আমাগো পাকা সেতু করে দেবেন চেয়ারম্যান-মেম্বাররা। কিন্তু পঞ্চাশ বছর ধরে একই প্রতিশ্রুতি শুনে আসছি কিন্তু আজ পর্যন্ত সেতুর মুখ দেখলাম না। আমাগো গ্রামের যুবকরা মিলে প্রতি তিন-চার মাস পর পর এলাকার সবার কাছ থেকে কিছু চাঁদা তুলে এই বাঁশের সাঁকোটিই সংস্কার করে। কবে যে আমাদের দুর্ভোগ কমবে, কবে যে পাকা সেতু দিয়ে পারাপার হব?’ ভীষণ আক্ষেপ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সূর্যমণি এলাকার ৬০ বছরের বৃদ্ধ মো. ওহাব আলী হাওলাদার। উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সূর্যমণি বাজারের পাশে আড়িয়াল খাঁ নদের শাখা কাঁচিকাটা খালের ওপর পাকা সেতু না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে এলাকাবাসী। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকো দিয়ে স্কুলে আসা যাওয়া করছেন। সাঁকো থেকে পা পিছলে নিচে পড়ে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাশেই সূর্যমণি বাজার। এই সূর্যমণি বাজার থেকে রায়পুর ও ভাটবালী গ্রামে যেতে হলে পাড়ি দিতে হয় বিশাল একটি বাঁশের সাঁকো। সাঁকোর ওই পাড়ে ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড। প্রতিনিয়ত ৮নং ওয়ার্ডের ১০টি গ্রামের অন্তত চার হাজার মানুষ এই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করেন। সাঁকোটি সংস্কারের জন্য স্থানীয়দের কাছ থেকে চাঁদা তুলে তিন থেকে চার মাস পরপরে সাঁকোটি সংস্কার করেন স্থানীয়রা যুবকরা। আবার অনেক সময় এ চাঁদা তুলতে ব্যর্থ হলে সাঁকোটি ভাঙা অবস্থাতাতেই পড়ে থাকে।
লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, সাঁকোটি ভেঙে পাকা সেতু নির্মাণ এখন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি আমরা স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে জানিয়েছি। তারা এখানে এসে মাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও গেছেন। আশা করছি এই বছরের শেষ হওয়ার আগেই টেন্ডার হবে। সেতুটি নির্মাণ হলে এই এলাকার পিছিয়ে পড়া মানুষের অনেক উন্নতি ঘটবে।
এব্যাপারে স্থানীয় সরকার অধিদফতর মাদারীপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আখতার জানান, সূর্যমণি এলাকায় কাঁচিকাটা খালের ওপর যেই সাঁকোটি আছে ওটার পরিবর্তে পাকা সেতু নির্মাণ করার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হয়ে এলেই টেন্ডার দিয়ে দ্রুত কাজ শুরু হবে।


111কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি222
দেশের বহুল প্রচারিত দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে রাস্তার বিদ্যুতের খুঁটি স্থানান্তর করল গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ কালীগঞ্জ জোনাল অফিস কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার কালীগঞ্জ পৌর এলাকার খেয়াঘাট-ভাদার্ত্তী সড়ক থেকে ওই বিদ্যুতের খুঁটি সরানো হয়।
এর আগে ৭ অক্টোবর সময়ের আলো পত্রিকায় ‘কালীগঞ্জে সড়কে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই ঢালাইয়ের প্রস্তুতি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর বিদ্যুতের খুঁটি স্থানান্তরের চেষ্টা করলেও রাস্তা কাঁচা থাকার কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরে রাস্তা চলাচলের উপযোগী হলে মঙ্গলবার সকালে তা স্থানান্তর করা হয়।
জানা গেছে, স্থানীয় সাংসদ মেহের আফরোজ চুমকি এমপির নির্বাচনি ইসতেহার ছিল খেয়াঘাট-ভাদার্ত্তী সড়ক পাকাকরণ। সেই অনুযায়ী সড়কটি নির্মিত হচ্ছিল। কিন্তু সড়কের মাঝে থাকা পল্লী বিদ্যুতের একটি খুঁটি না সরিয়েই সড়কটি ঢালাইয়ের প্রস্তুতি শুরু হয়। যা স্থানীয়দের শঙ্কিত করে তুলে।
কালীগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির জানান, আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ কালীগঞ্জ জোনাল অফিস ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার বরাবর ২ অক্টোবর আবেদন করেছি। সেই প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছেন। এখন ফাঁকা জায়গায় ঢালাই দিয়ে দেওয়া হবে।
গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ কালীগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. আকিয়াব হোসেন বলেন, আবেদন পাওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে চেষ্টা করেছি খুঁটি দ্রুত স্থানান্তর করতে। তবে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি আমাদের জন্য সহায়ক হয়েছে।




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close