চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৩টি রুটে কোনো ঘোষণা ছাড়াই গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে মালিক-শ্রমিকরা। রোববার বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত ফিটনেসবিহীন যানবাহন মালিক, চালক ও হেলপারকে কারাদণ্ড দেওয়ার প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে শুরু হয় তাদের এই অঘোষিত ধর্মঘট।
নগরীর কোনো রুটেই চলেনি বাস, মিনিবাস, হিউম্যান হলার, টেম্পো। ফলে কর্মজীবী মানুষ এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী যারা গণপরিবহনে যাতায়াত করে তারা ভীষণ বেকায়দায় পড়ে যায়। অনেকে ঘণ্টার ওপরে দাঁড়িয়ে থেকে বুঝতে পারে কিছু সমস্যা হয়েছে। তাই গণপরিবহন বন্ধ। অনেককে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। অনেকে রিকশা, অটোরিকশায় গেছে অতিরিক্ত ভাড়ায়। নগরীর কাজীর দেউড়ী, লালখানবাজার, দেওয়ানহাট, চৌমুহনী, আগ্রাবাদ, কাস্টম, ইপিজেড, বহদ্দারহাট, চকবাজার, মুরাদপুর, জিইসি মোড়, অক্সিজেনসহ প্রতিটি স্টপেজে ছিল উপচে পড়া ভিড়। মহিলা যাত্রীদের এ সময় বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিকালে অফিস-আদালত ও কল-কারখানা ছুটি শেষে একই রকম দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রী সাধারণকে।
সিএমপির উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) তারেক আহমদ জানান, বাস, মিনিবাস, টেম্পো এবং হিউম্যান হলার মালিক শ্রমিকরা কোনো ঘোষণা ছাড়াই কেন গাড়ি চালানো বন্ধ করল তার কারণ হিসেবে জানা গেছে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানার বিষয়টি। আমরা তাদের অনুরোধ করেছিলাম গাড়ি চালাতে। তারা শোনেনি।
রোববার বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মনজুরুল হক ফিটনেসবিহীন একটি বাসের মালিক মনির হোসেনকে ১৫ দিন, চালক মো. শামীম ও হেলপার আলমগীরকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ ঘটনার ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু না বলে অঘোষিতভাবে ধর্মঘট শুরু করে মালিক-শ্রমিকরা।