ই-পেপার বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪

পদত্যাগের পর সাঁতার কোচের হুমকি
অপ্রীতিকর ঘটনার সূত্রপাত ক্যাম্পে মোবাইল ব্যবহার ঘিরে
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০০ এএম  (ভিজিট : ১১৮)
ছয় মাসের জন্য জাপানিজ কোচ তাকেও ইনোকির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশন। নতুন কোচ যোগ দেন মাসখানেক আগে। তার অধীনে চলছিল দেশের সাঁতারুদের এসএ গেমসের প্রস্তুতি। কিন্তু হঠাৎ করেই রোববার দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন ইনোকি। পরদিন সোমবার ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানিয়েছেন পদত্যাগের কারণ, দিয়েছেন হুমকিও! সামাজিক মাধ্যমে তার ওই বার্তায় নিশ্চিত হওয়া গেছে, ফেডারেশনে অপ্রীতিকর ঘটনার সূত্রপাত মোবাইল ব্যবহার নিয়ে।
ক্যাম্পে থাকাকালীন সাঁতারুদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধÑ ফেডারেশনের এমন আইন ভঙ্গ করাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি। সম্প্রতি এ নিয়ম ভেঙেছেন জুনিয়র জাতীয় দলের (ট্যালেন্ট হান্ট দল) কিছু সাঁতারু। দোষীদের গরমের মধ্যে শারীরিক অনুশীলনের শাস্তি দেন জুনিয়র দলের কোচ ও কর্মকর্তারা। মিরপুরস্থ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্সে সে সময় সিনিয়র জাতীয় দলেরও অনুশীলন চলছিল ইনোকির অধীনে।
জানানিজ কোচ লক্ষ করেন, শাস্তি ভোগের একপর্যায়ে শরিফা আক্তার মিম নামের এক সাঁতারু অজ্ঞান হয়ে যান। ফ্লোরে পড়ে ছিলেন প্রায় ১০ মিনিট। ইনোকি কোচদের জিজ্ঞেস করেন, মেয়েটা ঠিক আছে কি না। তারা হাসতে হাসতে জানান, অভিনয় করছে, কিছু হয়নি! ইনোকি কোচদের বলেন, মিমের কাছে যেতে। বলার ২-৩ মিনিট পরে কোচরা গিয়ে তাকে ছায়ায় নিয়ে যান। ইনোকি বারবার বলার পরও অ্যাম্বুলেন্সে খবর দেননি জুনিয়র কোচরা। পরে ভ্যানে করে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয় মিমকে।
ওইদিন বিকালেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করলেও সোমবার ফেসবুক স্ট্যাটাসে এসব তথ্য জানান ইনোকি। পাশাপাশি বিশ^ সাঁতারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিনার কাছে অভিযোগ জানাবেন বলে হুমকি দেন তিনি। এ প্রসঙ্গে এই ব্যাপারে সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এমবি সাইফ বলেন, ‘তার (ইনোকি) যাওয়ার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। আমরা কথা বলার অনেক চেষ্টা করেছি। সে আমাদের সঙ্গে কোনো কথা বলনি। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে চলে গেছে। সাঁতারুরা গোপনে মোবাইল রাখত। যে কারণে ওদের শাস্তি দিয়েছিল। সেটা নিয়েই ইনোকি মূলত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।’
সাইফ জানান, সার্বিক ঘটনা তদন্তে গঠন করা হয়েছে কমিটি এবং পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ‘ট্যালেন্ট হান্টের ঘটনা জানার পর আমি সঙ্গে সঙ্গে একটা তদন্ত কমিটি গঠন করি। বিষয়টি ইনোকি খুব বড় করে দেখেছেন। আমরা মোবাইল রাখতে দিই না; কারণ, ওরা রাতে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। সকালে ওদের অনুশীলনে সমস্যা হয়। এ কারণে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছিলাম। কি শাস্তি দিয়েছে সুনির্দিষ্টভাবে জানি না। যদি অমানবিক শাস্তি দিয়ে থাকে তাহলে এক রকম। যদি রুটিন শাস্তি দিয়ে থাকে তাহলে আরেক রকম। পাঁচ কর্ম দিবসের তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। মিম এখন ক্যাম্পে আছে, ভালো আছে।’
তবে ইনোকির পদত্যাগে বড় ধাক্কাই গেল ফেডারেশন। কারণ আগামী ১ থেকে ১০ ডিসেম্বর নেপালের কাঠমান্ডু ও পোখরায় হবে এসএ গেমস।




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close