প্রকাশ: সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৯, ১০:০৪ এএম (ভিজিট : ২৪৪)
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলের’ প্রভাবে ঝালকাঠি জেলায় প্রায় চারশ বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়া কিছু গবাদি পশুর মৃত্যু ও কয়েক হাজার গাছ ঝড়ের কবলে বৈদ্যুতিক পুল, বসতবাড়ি ও রাস্তার উপর হেলে পড়েছে।
শুক্রবার রাতের দমকা হাওয়া ও বৃষ্টির সময় বিদ্যুত কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনা এড়াতে বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ করে রাখে। ঝড় বন্যার কারণে সোমবার দুপুর পর্যন্ত বৈদ্যুতিক সংযোগ চালু হয়নি। ৩দিন ধরে বিদ্যুত না থাকায় জনসাধারনের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলা শহরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়কসহ নিম্নঞ্চাল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া বৃষ্টির পানি জমে জেলার অনেক স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা শহরের রাস্তাঘাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অনেক বাসাবাড়িতেও পানি ঢুকেছে। এছাড়াও উপজেলা পরিষদ চত্বর, জেলা সরকারি কর্মকর্তাদের বাস ভবনসহ, অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি অপসারণে সেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সংশ্লিষ্টরা কাজ করছে।
জেলার চার উপজেলার কৃষকের রবিশস্যসহ বীজতলা তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিষখালি ও সুগন্ধা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভবানীপুর, রানাপাশা, নাচনমহল, তেতুলবাড়িয়া, হদুয়া জেলা শহরের কলাবাগান, কিস্তাকাঠি, সাচিলাপুরসহ বিভিন্ন গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বসতবাড়ির বাইরে কিছু প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবন আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেক সড়কে গাছ উপরে পড়ে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। যা সরানোর কাজ চলছে। সময় সাপেক্ষে সবকিছু সঠিকভাবে নিরূপন করা সম্ভব হবে। এদিকে দুর্যোগের কারণে শুক্রবার রাত ১০টা থেকে ঝালকাঠি জেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ নেই। ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক তারের উপর গাছ পড়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণে মোবাইল নেটওয়ার্কেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। ইন্টারনেটেও রয়েছে ধীরগতি রয়েছে। উপজেলা বন কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম বাকলাই জানান, কয়েকহাজার গাছ ঝড়ের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বনবিভাগের আওতায় থাকা গাছগুলো অপসারনে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ঝালকাঠি ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর নির্বাহী প্রকৌশলী আ. রহিম জানান, বৈদ্যুতিক খুটির উপরে গাছ পড়ার কারনে সংযোগ দেয়া সম্ভব হচ্চে না। সংস্কারের কাজ সম্পন্ন হলেই সংযোগ দেয়া হবে।