ই-পেপার বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যর্থ
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম  (ভিজিট : ৯০)
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পাহাড় জমে গেছে। সর্বশেষ প্রতিবেদনে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৬১২ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণ আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও ব্যাংকগুলো ব্যর্থ হচ্ছে। আর এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, খেলাপি ঋণে এখনও শীর্ষে রয়েছে জনতা ব্যাংক। সরকারি পাঁচটি ব্যাংকে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির পাশাপাশি গত তিন মাসে খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও ব্যর্থ হয়েছে চারটি ব্যাংক। অর্থ মন্ত্রণালয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পারফরম্যান্স মূল্যায়নে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
সার্বিকভাবে এসব সূচকে ব্যাংকগুলোর পারফরম্যান্স ‘সন্তোষজনক নয়’ বলে মন্তব্য করেছে ‘আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ’। ব্যাংকগুলোকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে বছর শেষে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী যেন তারা খেলাপি ঋণ আদায় করতে সক্ষম হয়।
বিভিন্ন ব্যাংকের খেলাপি ঋণ আদায় পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অর্থবছরের তিন মাসে সোনালী ব্যাংকের খেলাপি আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল ১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এই সময়ে আদায় করা সম্ভব হয়েছে মাত্র ১৮৯ কোটি টাকা। অর্জনের হার ১৯ শতাংশ।
একইভাবে অলোচ্য সময়ে জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮০০ কোটি টাকা। আদায় করা গেছে ২৬৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। অর্জনের হার ৩৩ শতাংশ। অগ্রণী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ আদায়ের টার্গেট রয়েছে ৪০০ কোটি টাকা। আদায় করা গেছে ৫৮ কোটি টাকা, লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ১৫ শতাংশ। রূপালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ আদায় করার কথা ছিল ২৫০ কোটি টাকা। কিন্তু ব্যাংকটি আদায় করতে পেরেছে মাত্র ৩৭ কোটি টাকা, লক্ষ্যমাত্রার ১৫ শতাংশ।
একইভাবে বেসিক ব্যাংকের খেলাপি আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫৫ কোটি টাকা। কিন্তু আদা করতে পেরেছে ৪৩ কোটি টাকা, লক্ষ্যমাত্রার ২৭ শতাংশ। এই ব্যাংকগুলোকে ত্রৈমাসিক হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার ২৫ ভাগ খেলাপি ঋণ আদায়ের কথা ছিল। এর মধ্যে একমাত্র জনতা ব্যাংক তা আদায় করতে সক্ষম হয়েছে।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে আগামী জুনের মধ্যে খেলাপি ঋণের স্থিতি কী পরিমাণ রাখতে হবে তাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী আগামী বছরের জুন শেষে সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের স্থিতি রাখতে হবে ১১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। বর্তমানে যা রয়েছে ১২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
একইভাবে জনতা ব্যাংকের খেলাটি ঋণের স্থিতি রাখতে হবে ১০ হাজার কোটি টাকা। এখন রয়েছে ১৯ হাজার ৯২৪ কোটি টাকা। অগ্রণীকে স্থিতি রাখতে হবে ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এখন আছে ৬ হাজার কোটি টাকা।
রূপালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের স্থিতি রাখতে হবে ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। বর্তমানে রয়েছে ৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। বেসিক ব্যাংকের খেলাটি ঋণের স্থিতি রাখতে হবে ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এখন যা আছে ৮ হাজার ৬৯৩ কোটি টাকা।
সূত্র জানায়, ব্যাংকগুলোকে বারবার খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও তারা ব্যর্থ হচ্ছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার এক বৈঠকে খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close