জাতীয় লিগের খেলা চলাকালীন সময়ে জাতীয় দলের সাবেক পেসার শাহাদাত হোসেন রাজিব সতীর্থ এক খেলায়াড়ের গায়ে প্রকাশ্যে হাত তুলে আবারোও আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছেন।
শাহাদাত এর আগেও এরকম নিন্দিত হয়েছিলেন তারই বাসার এক শিশুকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে। সেবার অর্থদন্ড দিয়ে পার পেয়েছিলেন শাহাদত! কিন্তু এবার তো গায়ে হাত তুললেন সতীর্থ ক্রিকেটার আরাফাত সানির (জুনিয়র আরাফাত সানি)।
গতকাল জাতীয় লিগের ‘এ’ পর্বে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ের সময় প্রথমে রাজিব ও আরাফাত সানির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে ছুটে গিয়ে আরাফাত সানিকে চড় থাপ্পর মারতে থাকেন রাজিব। এক পর্যায়ে সানিকে লাথিও নাকি মারেন রাজিব।
এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আসল ঘটনার সূত্রপাত বল ঘষা নিয়ে। ঢাকার পেসার মোহাম্মদ শহীদ ছিলেন বোলার। ফিল্ডার আরাফাত সানি ফিল্ডিং করছিলেন মিড অফে। আর শাহাদাত রাজিব ছিলেন মিড অনে। বোলারের হাতে বল দেয়ার আগে রাজিব সতীর্থ ক্রিকেটার আরাফাত সানিকে বলেন, ভালোমতো বলটা ঘষে দিতে যাতে ঔজ্জ্বল্য ঠিক থাকে।
কিন্তু আরাফাত সানি তা করতে অস্বীকৃতি জানান। তখন রাজিব এগিয়ে গিয়ে আরাফাত সানির কাছে জানতে চান, কেন বল ঘষে দেবে না? রীতিমত চার্জ করা শুরু করেন তিনি। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আরাফাত সানিকে কষে চড় বসিয়ে দেন রাজিব। রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে লাথিও মারেন।
ম্যাচ রেফারি সাবেক ক্রিকেটার শিপার এ ঘটনায় নিজে প্রত্যক্ষ করেছেন। তিনি এ নিয়ে বোর্ডে একটা রিপোর্টও জামা দিয়েছেন। সে ব্যাপারে বোর্ডই পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।
রাজিব যে একই দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানির গায়ে হাত তুলেছেন, সে ব্যাপারে শিপার বলেন, এখানে তো অস্বীকারের কিছু নেই। প্রকাশ্য দিনের আলোয়, খেলা চলাকালীন সময়ে নিজ দলের ফিল্ডারকে থাপ্পর ও লাথি মারার ঘটনা ঘটেছে। ঘটিয়েছেন শাহাদাত রাজিব। সেটা না দেখার কিছুই নেই। মাঠে উপস্থিত সবাই দেখেছেন।