ই-পেপার শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

এমপি লিটন হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক শেষ, রায় ২৮ নভেম্বর
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৯, ৫:২১ পিএম  (ভিজিট : ২৯৭)
গাইবান্ধার আলোচিত ক্ষমতাসীন দলের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। পরে শুনানী শেষে আগামি ২৮ নভেম্বর রায়ের দিন ধার্য করেছেন আদালতের বিচারক।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই যুক্তিতর্ক শেষ হয়। আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক মামলার সাক্ষী ও আসামিদের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের আইনজীবিদের যুক্তিতর্ক গ্রহণ করেন।

এর আগে, সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে আদালতে যুক্তিতর্ক শুরু হয়। প্রথম দিনে যুক্তিতর্ক শেষ না হওয়ায় মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে প্রায় ৩ ঘণ্টা আদালতে যুক্তিতর্ক খণ্ডন করেন রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের আইনজীবিরা।

যুক্তিতর্কের সময় আদালতে হত্যার মুল পরিকল্পনাকারী আসামি সাবেক এমপি কর্ণেল (অব:) আবদুল কাদের খাঁনসহ অভিযুক্ত ৮ আসামির মধ্যে ৬ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জেলা কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। যুক্তিতর্কের সময় মামলার সাক্ষী ও নিহতের স্বজনরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, ‘সাক্ষী-প্রমাণসহ মামলার নানা দিক আলোকপাত করে আদালতে যুক্তিতর্ক তুলে ধরা হয়। যুক্তিতর্ক শেষে শুনানীন্তে আগামী ২৮ নভেম্বর মামলার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেন বিচারক। আশা করছি, এ মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের ফাঁসিসহ সব্বোর্চ শাস্তি হবে আদালতে।’

এদিকে, আসামি পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ বলেন, 'এমপি লিটনকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে। এ মামলায় আসামী কাদের খাঁনকে ফাঁসানো হয়েছে। আসামীদের নির্দোষ দাবি করে আদালতে বিস্তারিত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। মামলার রায় সন্তোষজনক না হলে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হবেন বলেও জানান তিনি'।

২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল আলোচিত এ হত্যা মামলার সাক্ষগ্রহণ শুরু হয়ে তা শেষ হয় ৩১ অক্টোবর। এ পর্যন্ত আদালতে মামলার বাদী, নিহতের স্ত্রী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৫৯ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করে লিটনের বড় বোন ফাহমিদা কাকুলী বুলবুল। তদন্ত শেষে কাদের খাঁনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী বগুড়া বাসা থেকে গ্রেফতারের পর থেকে কাদের খাঁন গাইবান্ধা জেলা কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া আসামি কাদের খাঁনের পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়ি চালক হান্নান, ভাতিজা মেহেদি, শাহীন ও রানা জেলা কারাগারে রয়েছেন। তবে অভিযুক্তদের মধ্যে আসামি কসাই সুবল কারাগারে অসুস্থ অবস্থায় মারা যান। এছাড়া ভারতে পলাতক রয়েছেন অপর আসামি চন্দন কুমার।

এছাড়া লিটন হত্যার ঘটনায় অস্ত্র আইন মামলায় গত ১১ এপ্রিল আবদুল কাদের খাঁনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত।
 
 




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close