প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৯, ৯:২১ পিএম আপডেট: ১৯.১১.২০১৯ ৯:৩৫ পিএম (ভিজিট : ২১৬)
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘মিশর থেকে কার্গো ও যাত্রীবাহী বিমানের কার্গোতে বুধবার পেঁয়াজের বড় চালান আসবে। তুরস্ক থেকে বিমানে টিসিবির মাধ্যমে ২১ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে পেঁয়াজ আনা হবে। এসব পেঁয়াজ টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।’
মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে পেঁয়াজের দাম কমে এসেছে। এখন ১২০-১৪০ টাকায় খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। তবে পাবনায় এখনও ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশের ক্ষেতে ইতোমধ্যে পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দাম আরও কমে আসবে বলে আমার ধারণা।’
তিনি বলেন, ‘ভারত ও মিয়ানমারেও পেঁয়াজের দাম বেশি। মিয়ানমারে ৬০ টাকা ও ভারতে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমরা ব্যবসায়ীদের চাপে রাখছি। ইতোমধ্যে আড়াই হাজার ব্যবসায়ীকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের দেশেও বেড়ে গেছে।’
পেয়াজের দাম বাড়ারর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ভারত প্রতি টন পেয়াজের দাম আড়াইশ’ থেকে ৮৫০ টাকা করার পর হঠাৎ করে আমাদের বাজারে কয়েকগুণ দাম বেড়ে গেলো। ২৯ সেপ্টেম্বর তারা রফতানি বন্ধ করে দিলো। ২৪ অক্টোবর এই রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আশ্বাস দিলো। ফলে আমাদের ব্যবসায়ীরা অন্যকোনও বাজারে না গিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলেন। কিন্তু ২৪ তারিখ পেরিয়ে গেলেও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো না ভারত। এতে ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়লেন। পরে মিয়ানমারসহ অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আনতে শুরু করলেন তারা। নতুন মার্কেট থেকে একবারে বেশি পেঁয়াজ আনা যায় না, ফলে সংকট থেকেই গেলো।’
তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষকদের বিভিন্ন ধারনের সহায়তা দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। তাদের ঋণ ও বিভিন্ন ইনসেনটিভ দেওয়া হবে। কৃষকরা যেন পেঁয়াজের দাম পান এ জন্য বাজার মনিটরিং করা হবে।’