ওয়ারীতে চিলেকোঠায় আরিফ হত্যাকান্ড
এক সপ্তাহেও ‘ক্লু’ পায়নি পুলিশ
আলমগীর হোসেন
|
এক সপ্তাহেও ‘ক্লু’ পায়নি পুলিশ মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ওয়ারী থানার ওসির সঙ্গে তার সরকারি মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে এ বিষয়ে তার কথা বলার সময় নেই বলে ব্যস্ততা দেখান। এক পর্যায়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে এ বিষয়ে কথা হয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. হান্নানুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি সময়ের আলোকে বলেন, আলোচিত ও নৃশংস এই হত্যা মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত তদন্তের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। এসি হান্নানুল বলেন, কে বা কারা, কেন এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। তবে বিভিন্ন দিক মাথায় রেখেই তদন্ত করা হচ্ছে। যেমন ঘটনাস্থলের ওই ভবনের ছাদ থেকে আশপাশের আরও কিছু ভবনের ছাদে অনায়াসেই যাতায়াত করার সুযোগ রয়েছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, অন্য ভবনের ছাদ ব্যবহার করে খুনিরা সেই চিলেকোঠায় যেতে পারে। এছাড়া সরাসরি ওই ভবনও ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। এর বাইরে যেখানে চাকরি করতেন বা যে ভবনে থাকতেন সেখানে কোনো ঝামেলা হয়েছিল কি না, পারিবারিক কোনো বিরোধ ছিল কি না তাও তদন্ত করা হচ্ছে। এজন্য মামলার তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে এ বিষয়ে বারবার দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। জানা গেছে, গত ১৩ নভেম্বর সকালে লালমোহন সাহা স্ট্রিটে ১৩৯ নম্বর বাড়ির চিলেকোঠা থেকে আরিফের লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এই যুবকের বুকে ছুরি বসানো এবং পেটে ছোট চিকন গাছের সুচালো অংশ ঢোকানো ছিল। নিহত আরিফ ওই বাড়ির মালিক সুজনের এসকে ট্রেডার্সে চাকরি করত। একাকী থাকত ওই চিলেকোঠায়। নিহতের স্ত্রী ও দুই সন্তান নারায়ণগঞ্জের রূপগগঞ্জে থাকে। ঘটনাস্থলের ওই বাড়িটির ছাদ থেকে আশপাশের কয়েকটি ভবনের ছাদেও আসা-যাওয়া করা যায় বলেও পুলিশ জানায়। |