ই-পেপার মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪
মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ডিএমপির ট্রাফিক সচেতনতা পক্ষের উদ্বোধন
আইন মেনে চললে সম্মানিত হওয়া যায় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশ: শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম আপডেট: ২২.১১.২০১৯ ১২:১২ এএম  (ভিজিট : ১১৮)
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সবার মধ্যে আইন মানার প্রবণতা কম। আমরা কেউ আইন মানতে চাই না। ট্রাফিক আইন মেনে চললে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে। তা ছাড়াও আইন মেনে চললে সম্মানবোধ হয় এবং সম্মানিত হওয়া যায়। বৃহস্পতিবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উদ্যোগে চলমান ট্রাফিক সচেতনতা পক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। গাড়িরচালক, হেলপার, পথচারীসহ সাধারণ মানুষের দায়িত্ব, করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে সচেতন করতে ডিএমপির উদ্যোগে চলমান ট্রাফিক সচেতনতা পক্ষের উদ্বোধন করা হয়। ২১ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ট্রাফিক পক্ষ চলবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সড়কে চলাচলের সময় পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও পথচারীরা আইন মেনে চললে ‘অনেকখানি’ সফল হওয়া সম্ভব। রাস্তায় চলতে কার কী দায়িত্ব, করণীয়-বর্জনীয় সে বিষয়ে সচেতন করতে ট্রাফিক পক্ষ পালন করা হচ্ছে। আমরা মনে করি আইন যথাযথভাবে মানলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে।
আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, একটি জাতিকে চেনা যায় তার ট্রাফিক শৃঙ্খলা দেখে। আসুন আমরা ট্রাফিক শৃঙ্খলা বজায় রাখি। সড়কে কোনো কিছু হলে আমরা ট্রাফিক পুলিশকে দোষারোপ করে থাকি। আমরা যারা রাস্তা ব্যবহার করি, আমাদেরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের সবার মধ্যে যেন আইন না মানার সংস্কৃতি কাজ করে। আইজিপি বলেন, অনেক কারণে ঢাকা শহরে ট্রাফিক জটিলতা প্রকট আকার ধারণ করছে। এ কাজে ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ট্রাফিক এডুকেশন, ট্রাফিক এনভারয়নমেন্ট ও ট্রাফিক এনফোর্সমেন্টের ভ‚মিকা গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশ ট্রাফিক এনফোর্সমেন্টের একটি অংশ পালন করে থাকে। পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে আইজিপি বলেন, আইন প্রয়োগের কারণে আমার কোনো অফিসার বদলি হবেন না। তবে আইন প্রয়োগের সময় অবশ্যই তাকে বিনয়ী হতে হবে।
এ অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে পরিবহন শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সমস্যা সমাধানে বুধবার মালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেসব গাড়ির চালক হালকা লাইসেন্স নিয়ে মিডিয়াম, মিডিয়ামের লাইসেন্স নিয়ে হেভি গাড়ি চালাচ্ছেন, তাদের ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে লাইসেন্স আপডেট করে নেওয়ার জন্য। ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিকরা এ আইন সংশোধনের জন্য বৈঠকে ৯ দফা দাবি তুলেছিলেন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাকিগুলো যুগোপযোগী হিসেবে তারা সমর্থন জানিয়েছেন। আমরা প্রস্তাব আকারে ৯ দফা দাবি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করব। সড়ক ও সেতুমন্ত্রী এ বিষয়ে যৌক্তিক ব্যবস্থা নেবেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দূরপাল্লার ট্রাক ও লরিচালকদের জন্য বিশ্রামাগার তৈরি করা হচ্ছে। কেননা বিশ্রাম ছাড়া গাড়ি চালালে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে।







সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close