প্রকাশ: শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম (ভিজিট : ১০১)
মাহমুদ নোমানের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘লুইজাল’-এর পিডিএফ কপি মেল মারফত পেয়ে পড়ে ফেললাম। প্রথমত বলি সুন্দর নামকরণ। রাজদীপ পুরীর করা প্রচ্ছদটি দৃষ্টিনন্দন। পড়লাম নোমানের কথা। লুইজাল যেমন ছোট ছোট মাছকে অবলীলায় ধরে ফেলে, তেমনি ছোট ছোট স্কেচে জীবন
প্রকৃতি আর অনুভবে ধরেছে অনায়াসে। এমন নির্মল স্নিগ্ধ আর অমোঘ কবিতা বহুদিন পড়িনি। মাহমুদ নোমান বুদ্ধি দিয়ে কবিতা লেখে না, লেখে হৃদয় দিয়ে; ছবির পর ছবি এঁকেছে সাবলীল দক্ষতায়। চিত্রকল্প সৃষ্টির মুনশিয়ানা আমাকে মুগ্ধ করেছে। গ্রাম আর দুঃখ আবিষ্ট করলেও মাহমুদ নোমান গ্রামীণ বা শুধু দুঃখের কবি নয়, মাহমুদ নোমান একজন নাগরিক কবি; তার কবিতার বিষয়ে গ্রাম থাকলেও নাগরিক ভাষায় কথা বলেছে। প্রতিটি কবিতাই আমার ভালো লেগেছে। বুকের মধ্যে একটা অনুরণন সৃষ্টি করেছে। প্রসঙ্গত বলি, আমিও সেই পাড়াগাঁয়ের ছেলে। আমার শৈশব কেটেছে ওই লুইজালে মাছ ধরে, নদীতে সাঁতার কেটে আর লাল বটফল নিয়ে নোনা ধুলোয় দৌড়ে। এখন শহর কলকাতায় থাকি। কিন্তু মাহমুদ নোমানের কবিতার হাত ধরে আমার ফেলে-আসা গ্রামজীবন আবার ফিরে পেলাম। মাহমুদ নোমান ভ‚মিকায় যা বলেছে, একশো বছর পরও মাহমুদ নোমানের কবিতা লোক পড়বে তাদের বুকের মাঝের হারিয়ে যাওয়া গ্রামকে খুঁজতে। একেবারে সঠিক। এখনই আমি তা বুঝতে পারছি।
রবীন বসু কলকাতা, ভারতবর্ষ