ই-পেপার শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪

কৈশোরে শরীরচর্চা: বাংলাদেশ শীর্ষে, সবার নিচে দক্ষিণ কোরিয়া
প্রকাশ: শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম আপডেট: ২৩.১১.২০১৯ ১০:০২ এএম  (ভিজিট : ১৯১)
এক জরিপে দেখা গেছে, বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ১১ হতে ১৭ বছর বয়সি শিশুরা শারীরিকভাবে মোটেই সক্রিয় নয়, অর্থাৎ তারা যথেষ্ট পরিমাণে শরীরচর্চা বা খেলাধুলায় অংশ নিচ্ছে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই জরিপে বলা হচ্ছে, বিষয়টা এখন প্রায় মহামারীর রূপ নিয়েছে। যথেষ্ট শরীরচর্চার অভাবে শিশুদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে, তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং তাদের সামাজিক মেলামেশার দক্ষতা কমছে।
তবে এই জরিপে অবাক করার মতো একটি তথ্য হচ্ছে, শারীরিক সক্রিয়তার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান সবচেয়ে ভালো। অর্থাৎ শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা সমস্যা বাংলাদেশের শিশুদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে কম। দিনে অন্তত ১ ঘন্টা শরীরচর্চা বা কোনো ধরনের খেলাধুলায় অংশ না নিলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাকে ‘শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা’ বলে গণ্য করে। জরিপে দেখা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার মেয়েরা (৯৭ ভাগ) এবং ফিলিপাইনের ছেলেরা (৯৩ ভাগ) হচ্ছে শারীরিকভাবে সবচেয়ে নিষ্ক্রিয়। অন্যদিকে বাংলাদেশের শিশুদের মধ্যে এর হার ৬৬ ভাগ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই জরিপে বলা হয়, শিশুদের শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার এই সমস্যা আফগানিস্তান থেকে শুরু করে জিম্বাবুয়ে, কম-বেশি সব দেশেই আছে। ১১-১৭ বছর বয়সিদের মধ্যে প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে চারজনই যথেষ্ট শরীরচর্চা করছে না, খেলাধুলা করছে না। সমস্যাটা ধনী-গরিব সব দেশেই একই রকম। মোট ১৪৬টি দেশের ওপর পরিচালিত জরিপে সেটাই দেখা যাচ্ছে। তবে মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা একটু বেশি সক্রিয়।
যেকোনো শারীরিক তৎপরতা, যাতে হৃৎস্পন্দন দ্রুততর হয় এবং ফুসফুসের মাধ্যমে আমাদের শ্বাস নিতে হয় ঘন ঘন, সেটাকেই শরীরচর্চার মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে আছে দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, ফুটবল, লাফ দেওয়া, স্কিপিং, জিমন্যাস্টিকস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, প্রতিদিন অন্তত ৬০ মিনিট ধরে মধ্যম বা তীব্র মাত্রার শরীরচর্চা করা উচিত।
গবেষণায় বলা হয়েছে, এখন শিশুদের শারীরিকভাবে ফিট রাখার চাইতে লেখাপড়ায় ভালো করাটাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আরেকটা সমস্যা হচ্ছে খেলাধুলা এবং অন্য অবসর বিনোদন কার্যক্রমের সুবিধার অভাব। এগুলোয় সবার সমান সুযোগ নেই। নিরাপত্তার সমস্যাও আছে। রাস্তাঘাট যেহেতু নিরাপদ নয়, তাই সেখানে সাইকেল চালানো, হেঁটে কোনো বন্ধুর বাড়িতে যাওয়া এগুলোও আর সেভাবে হয় না। আরেকটা বড় কারণ ডিজিটাল বিপ্লব। ফোন, ট্যাবলেট এবং কম্পিউটারে এখন ডিজিটাল গেম খেলার সুযোগ এত বেশি যে বাইরে গিয়ে খেলাধুলা করার চেয়ে এটা বেশি আকর্ষণীয় মনে হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সব দেশেই সমস্যাটা একই রকম। বাংলাদেশের অবস্থান যদিও সূচকে বেশ ভালো, তারপরও সে দেশেও ৬৬ শতাংশ শিশু প্রতিদিন এক ঘণ্টা যে শরীরচর্চা বা শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার কথা, সেটা করছে না। ফিলিপাইন আর দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। যুক্তরাজ্যে ৭৫ শতাংশ ছেলে এবং ৮৫ শতাংশ মেয়ে শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয়, অর্থাৎ তারা দিনে এক ঘণ্টা ব্যায়াম করছে না। রয়্যাল কলেজ অব পেডিয়াট্রিক্স অ্যান্ড চাইল্ড হেলথের অধ্যাপক রাসেল ভাইনার বলেন, এ গবেষণার ফল খুবই উদ্বেগজনক।




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close