বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কেউ ব্যক্তিগত ইউটিউব চালালে তাকেও প্রচলিত আইন অনুযায়ী ট্যাক্স দিতে হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে যে কেউ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট যেমন করতে পারে তেমনি কেউ ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলও করতে পারে। কিন্তু কেউ যদি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে করে…, আমরা কিন্তু ইউটিউব, ফেসবুকসহ সবার সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের মাধ্যম ব্যবহার করে যে ব্যবসা হচ্ছে বা বিজ্ঞাপন যাচ্ছে সেগুলোতে ট্যাক্স আরোপ করার কথা বলেছি। আমরা এনবিআরের সঙ্গেও কথা বলেছি।
সুতরাং বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কেউ যদি করে সেক্ষেত্রে অবশ্যই দেশের নিয়ম-ট্যাক্সেশন আইন অনুযায়ী আইন মেনে করতে হবে, যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।
এদিকে তথ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছিলাম যত দ্রুত সম্ভব অনলাইনগুলোর ব্যাপারে তদন্ত শেষ করে আমাদের কাছে জানানোর, যাতে আমরা নিবন্ধনের কাজটি শুরু করতে পারি। ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আজ বা কালকের মধ্যে তারা তদন্ত শেষ করে কয়েকশ অনলাইনের তথ্য আমাদের কাছে পাঠাবে।
আমরা আগামী সপ্তাহ থেকে অনলাইনের নিবন্ধন দেয়া শুরু করব। এ প্রক্রিয়া শেষ করতে কিছুদিন সময় লাগবে। ৩ হাজার ৫৯৭টি অনলাইনের তদন্ত শেষ করা সহজ কাজ নয় এবং কয়েকটি সংস্থা তদন্ত করছে।
অনেক অনলাইন ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে তা দিচ্ছে- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, অনলাইন পত্রিকার নয়, কাগজের পত্রিকার অনলাইন ভার্সন করা হচ্ছে। সেগুলো নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। সেগুলোও একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হবে। কারণ, যিনি যেটার লাইসেন্স পেয়েছেন সেটার বাইরে....শুধু যে পত্রিকাগুলো অনলাইন করছে তা নয়, টেলিভিশনও অনলাইন চালু করেছে। সেটিরও অনুমতি এখনও পর্যন্ত নেই। সবকিছু একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনার জন্য আমরা একটি প্রক্রিয়া শুরু করেছি।