এমপির গাড়িতে পেট্রোল না দেওয়ায় সেই ফিলিং স্টেশন বন্ধ
সময়ের আলো ডেস্ক
|
রোববারের ছবি সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পরিবহন শ্রমিকরা ওই ফিলিং স্টেশনের
সামনে এলোপাতাড়ি ট্রাক ও পিকআপ রেখে পেট্রোল বেচাকেনা বন্ধ করে দেয়। চৌধুরী ফিলিং স্টেশনের বিতরণকর্মী রবিউল ইসলাম জানান, এমপি স্যারের গাড়ি যখন এখানে পেট্রোল নিতে আসে, সে সময় অনেক মোটরসাইকেল আরোহী পেট্রোল নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। তাদের পেট্রোল দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় মোটরসাইকেল আরোহীরা এমপির গাড়ি দেখিয়ে বলতে থাকেন, দেখব তাকে (সাংসদকে) পেট্রোল দিচ্ছেন কিনা। এ কথা শুনে জনরোষের ভয়ে এমপি স্যারের গাড়িতে পেট্রোল দিতে রাজি হইনি। তবে পরিবহন শ্রমিক এন্তাজুল হক বলেন, এমপিকে অসম্মান করায় এই পাম্প থেকে কোনো শ্রমিক ডিজেল-পেট্রোল কিনবে না। বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ঠাকুরগাঁওয়ের সভাপতি এনামুল হক জানান, কর্মসূচি চলাকালে এমপি সাহেবের গাড়ি যখন পেট্রোল নিতে যায় তখন অনেক ক্রেতার ভিড় ছিল। তাই বিতরণকর্মীরা এমপি সাহেবের গাড়িতে পেট্রোল দিতে রাজি হননি। এখন শুনছি, ওই ঘটনা নিয়ে একদল শ্রমিক বিক্ষুব্ধ হয়ে পাম্পের কেনাবেচা বন্ধ করে দিয়েছে। এ বিষয়ে সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন জানান, পেট্রোল পাম্পে কর্মবিরতি চলছে এটা জানা ছিল না। যার কারণে ওই পাম্পে পেট্রোল নিতে যাই। কিন্তু আমাকে পেট্রোল দেওয়া হলো না। এতে আমার অনুসারীরা ক্ষুব্ধ হতেই পারে। উল্লেখ্য, জ্বালানি তেল বিক্রির প্রচলিত কমিশন বৃদ্ধিসহ ১৫ দফা দাবিতে গতকাল রোববার সকাল ছয়টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করে ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ, জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, পেট্রলপাম্প মালিক সমিতিসহ জ্বালানি ব্যবসায়ীরা। এদিকে সোমবার তিন বিভাগের পেট্রলপাম্প ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের একাংশের ডাকা এ ধর্মঘট আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান তারা। |