ই-পেপার শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

হাইকোর্টের মন্তব্য
কিছু পুলিশের অপকর্মে প্রশ্নবিদ্ধ গোটা বাহিনী
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম আপডেট: ০৩.১২.২০১৯ ১২:৫৪ এএম  (ভিজিট : ১৭৫)
কিছু পুলিশের অন্যায়, অপকর্ম ও দুর্নীতির জন্য গোটা পুলিশ বাহিনীর অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ মন্তব্য করেন। এ সময় আদালত বলেন, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশের সংখ্যা পাঁচ শতাংশের বেশি হবে না। এরা ধরেই নিয়েছে দুর্নীতি করলে কিছু হয় না।’

পরে আদালত রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার এএসআই মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। পুলিশের আইজিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে আবেদনের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইসমাইল হোসেন ভূইয়া ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার শুনানি করেন। পরে অ্যাডভোকেট ইসমাইল হোসেন ভূইয়া সাংবাদিকদের জানান, ‘গত ২৭ জুন রাতে উত্তরাস্থ ভ‚তের আড্ডা রেস্টুরেন্ট থেকে ডিনার শেষে ভুক্তভোগী ইব্রাহিম খলিল তার পরিচিত নীলা আক্তারকে নিয়ে রিকশা যোগে বাসায় ফেরার সময় একজন এপিবিএন সদস্য তাদের পথরোধ করে রিকশা থেকে নামতে বলেন।
তখন ইব্রাহীম রিকশা থেকে নামলে ওই এপিবিএন সদস্য মোবাইল ফোনে বলেন, ‘স্যার দুজনকে ধরেছি।’ এই বলে তাদের দাঁড় করিয়ে রাখে। এ সময় আটকের কারণ জানতে চাইলে পরে জানতে পারবেন বলে জানান ওই এপিবিএন সদস্য।
এরপর ভুক্তভোগী ইব্রাহীম জানান, কিছুক্ষণ পর এএসআই মোস্তাফিজুর এবং নেমপ্লেটবিহীন অজ্ঞাতপরিচয় পুলিশ কনস্টেবল এসে আমাদের এপিবিএন কোয়ার্টার গেটের দক্ষিণ পাশে ব্যাটারিচালিত অটোতে উঠতে বলে। তখন আমি কারণ জানতে চাইলে মোস্তাফিজুর রহমান অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও ধমকানো শুরু করে। একপর্যায়ে ইব্রাহীমকে ওখানে রেখে এএসআই মোস্তাফিজুর নীলা আক্তারকে নির্জন স্থানে নিয়ে তাকে সময় দেওয়ার শর্ত ও ২০ হাজার টাকা দিলে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে। পরে ছয় হাজার টাকা দিয়ে তারা ছাড়া পায়।ভুক্তভোগী ইব্রাহীম আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় এএসআই মোস্তাফিজুর রহমান ও তার সঙ্গে থাকা অজ্ঞাতপরিচয় দুজন কনস্টেবলের বিরুদ্ধে নাজেহালের ঘটনা বর্ণনা করে পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবর লিখিত আবেদন এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুলিপি দেই। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো প্রতিকার পাইনি। তাই রিট করেছি।








সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close