নরসিংদী সদরের চিনিশপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্যকে চাঁদা না দেওয়ায় দোকান নির্মাণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে এক ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে মারধরের ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম মাসুম (৩০) নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি ইউনিয়নের গাবতলী মাদ্রাসার সামনে নিজের জমিতে দোকান ঘর নির্মাণ করতে গেলে চিনিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মামুন মিয়া চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে প্রকাশ্যে মারধর করে। এ ঘটনায় বাদী হয়ে শফিকুল ইসলাম মাসুম ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে নরসিংদী সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গাবতলী মাদ্রাসার বিপরীত পাশে পুরানপাড়া মৌজায় নিজেদের জমিতে দোকান ঘর নির্মাণ করছিলেন শফিকুল ইসলাম মাসুম। এসময় ইউপি মেম্বার মামুন মিয়া (৩৭) তার সহযোগী একই এলাকার তোরাব আলীর ছেলে রহুল আমিন (২০), আ. সাত্তারের ছেলে আল আমিন (২০), সিরাজ মিয়ার ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২২) ও মহসিন (২১) সহ আরও ৫/৬ জন সন্ত্রাসীরা শফিকুল ইসলাম মাসুমকে দোকান নির্মাণে বাধা দেয়। তারা এর আগে দাবি করা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা পরিশোধের দাবি জানায়। মাসুম চাঁদা দিতে রাজি না হলে তারা লাঠিসোটা দিয়ে তাকে মারপিট করে আহত করে। এসময় মাসুমের স্ত্রীর বড় ভাই সাজেদুল আরেফিন ওরফে কাবির (৪২) তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করা হয়।
এসময় হামলাকারীরা ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়াসহ নির্মাণাধীন দেয়াল ভেঙ্গে ১ লাখ টাকার ক্ষতি করে। পরে তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে চলে যায়।
শফিকুল ইসলাম মাসুম জানান, মামলা দায়ের করার পর প্রধান আসামি ইউপি সদস্য মামুন মিয়া প্রভাব বিস্তার করে গ্রেফতার না হয়েই আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে হয়ে গেছে। জামিনে মুক্তি পেয়ে উল্টো আমাদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে এবং দাবি করে সে নরসিংদী সদর-১ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম হিরুর লোক। তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত চিনিশপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার চরথাপ্পড় মারার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমার ছবি দিয়ে আমার বিরুদ্ধে যা খুশি লেখেন। আমাকে কিছু করতে পারবেন না। বরং এতে আমার প্রচার হবে।’