ই-পেপার মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

সাফারি পার্কে জন্ম নিল পকেট মাঙ্কির দুই শাবক
প্রকাশ: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম আপডেট: ১৪.১২.২০১৯ ১১:৩৯ পিএম  (ভিজিট : ৫০৮)
বানর প্রজাতির মধ্যে ছোট জাতের হচ্ছে কমন মার্মোসেট বানর। দক্ষিণ আমেরিকা তথা ব্রাজিলের ছোট জাতের এ বানরকে কমন মার্মোসেট বানর বা পিগমি মাঙ্কিও বলা হয়। এরা পকেট মাঙ্কি প্রজাতির। এদেশে শুধু কয়েকটি সাফারি পার্কেই বিরল প্রজাতির বানর রয়েছে। এবারই প্রথম এ বানর দুটি শাবকের জন্ম দিয়েছে। বুধবার রাতে গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের কোয়ারিন্টাইন বেষ্টনীতে ব্রাজিলের পকেট মাঙ্কি পরিবারে দুইটি শাবক জন্ম নিয়েছে। ওই শাবকের জন্ম হলেও বৃহস্পতিবার সকালে খাবার দিতে গিয়ে মায়ের পিঠে আঁকড়ে থাকা শাবক দুইটি নজরে পড়ে পার্ক কর্তৃপক্ষের। দক্ষিণ আমেরিকা তথা ব্রাজিলের ছোট জাতের এ বানরকে কমন মার্মোসেট বানর বা পিগমি মাঙ্কিও বলা হয়। এদেশে শুধু সাফারি পার্কেই এ প্রজাতির বানর রয়েছে এবং এবারই প্রথম এ বানর শাবকের জন্ম দিল। পার্কে থাকা পূর্ণবয়স্ক তিনটি মার্মোসেট বানরের মধ্যে একটি মাদি এবং দুইটি পুরুষ। দুই শাবকসহ পার্কে এখন মার্মোসেট বানর পরিবারে সদস্য সংখ্যা হলো-৫।
শনিবার সকালে সরেজমিন পার্কের বিশেষ তত্ত¡াবধানে থাকা বেষ্টনীতে গিয়ে দেখা গেছে, ছোট আকৃতির মা বানরের পিঠে শাবক দুইটি শক্তভাবে আকড়ে ধরে রয়েছে। কাউকে দেখলেই তারা অত্যন্ত সতর্কভাবে এদিক ওইদিক ছুটাছুটি করছে। খুব ভালোভাবে লক্ষ্য না করলে পিঠের বাচ্চা দুইটিকে বুঝা দায়। এদের দেখতে অনেকটা ছোট সিংহের মতো মনে হয়। মাথায় সাদা পশমের ঝুঁটি রয়েছে।
সাফরি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তবিবুর রহমান জানান, এধরনের প্রতিটি পূর্ণবয়স্ক বানরের ওজন ২০০-২৫০ গ্রাম হয়ে থাকে। আকার হয় ৯-১০ ইঞ্চি। এদের দেহ কালো ঘন পশমে ঢাকা থাকে। তবে মাথায় সাদা তুলার মতো ঝুঁটি ও হাত-পায়ে সাদা পশম থাকে। শরীর কালো পশম ছাড়া অনেক সময় ধূসর বর্ণের পশমেও আবৃত থাকে। এদের দেহের চেয়ে বেশ লম্বা একটি লেজও রয়েছে। এরা ২-৩ বছরের মধ্যে প্রজননক্ষম হয়। এদের গর্ভকালীন সময় হলো ১২০ থেকে ১৫০ দিন। প্রতিবারে এরা সাধারণত দুইটি বাচ্চা প্রসব করে থাকে। শাবকরা প্রায় তিন মাস মায়ের বুকের দুধ পান করে থাকে। তিন মাস পর তারা অন্যান্য খাবারও খেতে শুরু করে। গাছের, ছাল, কষ, পাতার রস, রেজিন, বিভিন্ন ফল জাতীয় পূর্ণবয়স্ক বানরের প্রধান খাবার।
পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার মো. আনিসুর রহমান জানান, ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে পাঁচারকালে শুল্ক ও গোয়েন্দা বিভাগ অন্যান্য পাখি ও প্রাণির সঙ্গে এ মার্মোসেট বানরও জব্দ করে। পরে তা সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তখন থেকেই এদের পার্কের বিশেষ বেষ্টনীতে কোয়ারিন্টানে আবদ্ধ হয়েছে। এখনও এরা সেখানেই রয়েছে। দর্শণার্থীদের জন্য তা উন্মুক্ত করা হয়নি।





সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close