ই-পেপার বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪

লঞ্চ-কার্গো সংঘর্ষ
অল্পের জন্য রক্ষা পেল ১৫শ’ যাত্রী
প্রকাশ: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৩:৪৪ পিএম আপডেট: ১৫.১২.২০১৯ ৩:৪৯ পিএম  (ভিজিট : ২৪৭)
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চের সাথে একটি কার্গোর মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কেউ হতাহত না হলেও সিমেন্টের কাঁচামালবাহী হাজী মোহাম্মদ দুদু মিয়া নামক কার্গোটি নিমজ্জিত হয়েছে।

শনিবার রাতে নৌবন্দরের অদুরে এই দুর্ঘটনায় এমভি শাহারুখ-২ নামের লঞ্চটির তলা ফেটে গেলেও রক্ষা পেয়েছেন অন্তত ১৫শ যাত্রী। তাদেরকে গভীর রাতে কীর্তনখোলার পূর্ব তীরে চরকাউয়া নামক স্থানে নামিয়ে দেওয়া হলে পরে রাজধানী সদরঘাটগামী অপর একটি লঞ্চ তুলে নিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বরিশাল সদর নৌ থানা পুলিশ সূত্র জানায়- বরগুনা থেকে যাত্রীবোঝাই শাহারুখ-২ লঞ্চটি ঢাকার সদরঘাট যাওয়ার পথে বরিশাল নৌবন্দরের বিপরীত পাশে কীর্তনখোলা নদীতে বাক নেওয়ার প্রাক্কালে সিমেন্টের কাঁচামালবাহী হাজী মোহাম্মদ দুদু মিয়া নামক একটি কার্গোর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে বিপরীত দিক থেকে আসা কার্গোটির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে অল্প সময়ের মধ্যে পানিতে ডুবে যায়। এবং লঞ্চটির সামনের অংশে কিছুটা ফেটে গেলে যাত্রীদের হুড়োহুড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে লঞ্চ নদীপূর্ব তীরবর্তী চরকাউয়া এলাকায় নোঙর করে অন্তত ১৫শ’ যাত্রীকে নিরাপদে নামিয়ে দেওয়া হয়।

এদিকে এ সময় কার্গোটির ১১ শ্রমিকের সাতজন নিখোঁজ থাকার খবর পেয়ে নৌ-পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ এবং কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তবে কিছুটা সময় পরে নিশ্চিত হওয়া যায় কার্গোর সকল শ্রমিকই নিরাপদে তীরে উঠে এসেছেন। এবং যাদের নিখোঁজ হিসেবে ভাবা হচ্ছিল তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করেছেন।

বাকি ৪ শ্রমিক নৌ সদর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে জানিয়ে বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা সরকার মিঠু সময়ের আলোকে বলেন, রাতের বেলা পণ্যবাহী নৌযান চলাচল নিষেধ থাকা সত্ত্বেও কার্গোটি চালিয়ে যাওয়ার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। দুটি যানের ক্ষয়ক্ষতি হলেও যাত্রীদের কেউ হতাহত হননি। খবর পেয়ে সাথে সাথে তিনিসহ কর্মকর্তারা ছুটে গিয়ে যাত্রীদের নিরাপদে নদী তীরে নামিয়ে পরে সদরঘাটগামী এমভি পূবালী-১ লঞ্চে তুলে দিয়েছেন।

এদিকে কার্গোটি মাঝ নদীতে ডুবে থাকায় স্বাভাবিক নৌযান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় সেটিকে টেনে পাশে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে বিআউডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী হামজা, এমনটি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

জানা গেছে- বরিশালে অবস্থানরত দুটি হামজা ৫শ’ টন ওজনের নৌযান তুলতে সক্ষম হলেও ডুবে যাওয়া কার্গোটি ৩০ টনের বেশি। এই কারণে বিআইডব্লিউটিএ উদ্ধার অভিযান থেকে সরে এসেছে।

রোববার বেলা ৩টার দিকে বরিশাল সদর থানা নৌ-পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করে সময়ের আলোকে বলেন- কার্গোর ৪ শ্রমিক তাদের হেফাজতে রয়েছে। কিন্তু এই ঘটনায় কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কি না সেই বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত দেয়নি।




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close