ই-পেপার শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

এবারও রানে ভাসবে সাগরিকা!
প্রকাশ: সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম আপডেট: ১৫.১২.২০১৯ ১১:৪৯ পিএম  (ভিজিট : ৩৩৭)
বিপিএল আর বিতর্ক, দুটো যেন পরিপূরক। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করা এবারের আসরটি এরইমধ্যে একাধিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তা নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে বিস্তর। তবে ঢাকার প্রথম পর্ব শেষে একটা বিষয় নিয়ে কোনো কথা ওঠেনি, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট। হোম অব ক্রিকেটের ২২ গজ রানের বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছে, বিষয়টা যদিও এমন নয়। তবে অতিবড় নিন্দুকেরাও এখন পর্যন্ত বলতে পারেনি, যেমন উইকেটে খেলা হয়েছে তা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের উপযুক্ত নয়। ব্যাটসম্যানরা স্বাচ্ছন্দ্যে শট খেলতে পারছেন, দুই-একটি ব্যতিক্রম বাদ দিলে প্রতিটি ম্যাচেই ছুটেছে রানের ফোয়ারা।

ঢাকা ছেড়ে বিপিএল এবার চট্টগ্রামে। আগামী আট দিন ক্রিকেট উৎসবে মেতে থাকবে বন্দরনগরী। আগামীকাল খুলনা টাইগার্স আর রাজশাহী রয়্যালসের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এই উৎসব। ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সবমিলিয়ে ১২টি ম্যাচ হবে বঙ্গোপসাগরের কূলবর্তী জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। সাগরিকা নামে খ্যাত এই স্টেডিয়ামের উইকেট বরাবরই ব্যাটিংবান্ধব। সেপ্টেম্বরে এখানে হওয়া সবশেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ব্যাটসম্যানদের রানোৎসব করতে দেখা গেছে। এই মাঠে বিপিএলের আগের ছয়টি আসরের ম্যাচগুলোর বেশিরভাগই ভেসেছে রানের বানে।

চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে হওয়া ষষ্ঠ বিপিএলের কথাই ধরুন। সেবার ১০টি ম্যাচ হয়েছে সাগরিকায়। ১০টি ইনিংসে রান হয়েছে ১৮০ ছাড়িয়ে। ঢাকা ডায়নামাইটসের ১৮৬ রান ১০ বল হাতে রেখে টপকে গিয়েছিল রংপুর আর সিলেট সিক্সার্সের ১৮৯ রান ১২ বল হাতে রেখে টপকে ছিল রাজশাহী কিংস। তাই কত রান জয়ের জন্য যথেষ্ট হবে, সাগরিকার ব্যাটিংস্বর্গে সেটা অনুমান করাও হয়ে পড়েছিল কঠিনসাধ্য। ২০০ ছাড়ানো ইনিংসও ছিল দুটো (২৩৭ ও ২৩৯)। অ্যালেক্স হেলস, রাইলি রুশো, এভিন লুইসরা মেতেছিলেন সেঞ্চুরির উৎসবে। রানের ফোয়ারা দেখা গেছে স্থানীয়দের ব্যাটেও। এবারও তেমন কিছু হবে, রানের বানে ভেসে যাবে সাগরিকা, এমনই প্রত্যাশা ক্রিকেটপ্রেমীদের।

উইকেট ব্যাটিংবান্ধব হলে বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করা বিপিএল যেমন বিনোদনমূলক হবে, আখেরে লাভ হবে বাংলাদেশের ক্রিকেটেরও। এমন উইকেটে খেললে স্থানীয় ক্রিকেটারদের শট খেলার প্রবণতা যেমন বাড়বে, তেমনি বাড়বে পরিসীমাও। তাদের আত্মবিশ্বাসের ভিতটা হবে আরও মজবুদ। যার সুফল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পেতে পারে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে এক যুগের বেশি সময় পথ চলার পরও সেই মানের বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান দেখা যায়নি টাইগার শিবিরে। যারা খেলছেন তাদের মাঝে বড় শট খেলার ঘাটতিই চোখে পড়েছে বেশি।

এর অন্যতম কারণ ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যবহৃত উইকেট। যে উইকেটগুলো সাধারণত মন্থর, নিচু বাউন্সের হয়, যেখানে স্বাভাবিক শট খেলা ব্যাটসম্যানদের জন্য বড় কঠিন। এই বিপিএলে ঢাকা প্লাটুনের কোচের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন যেমন বলেছেন, ‘আগে স্লো পিচে আমরা চিন্তা করতাম বল মারলে কি সীমানা পার হবে কি হবে না। এখন ভালো উইকেট পাওয়ায় সে চিন্তা অনেকটাই কমে গেছে। তার বদলে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। আস্থা বেড়েছে, তাই শট খেলতে পারলে পারফেক্ট হবে।’

ইমরুল কায়েস, তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ মিঠুনদের মতো স্থানীয় ক্রিকেটাররা ভালো করছেন। এতে খুশি সালাউদ্দিন। গত বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে শিরোপা জেতানো এবং এবারের বিপিএলে একমাত্র বাংলাদেশি কোচ বলেছেন, ‘বিপিএল স্থানীয়রা ভালো করছে। এই ধরনের উইকেটে খেললে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের শট খেলার সামর্থ্য বাড়বে। আশা করি চট্টগ্রামের উইকেটেও স্থানীয়রা পারফরম্যান্সে এগিয়ে থাকবে।’

যদি তাই হয়, বিপিএল নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ বাড়বে আরও। গ্যালারিতেও বাড়বে দর্শক উপস্থিতি। বিসিবি কর্তা থেকে শুরু করে ক্রিকেটার সবারই প্রত্যাশা সাগরিকার গ্যালারি থাকবে দর্শকপূর্ণ।




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close