ই-পেপার শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

কবে ঘুচবে বর্ণবাদী বৈষম্য
প্রকাশ: শুক্রবার, ৫ জুন, ২০২০, ১১:৫৫ পিএম  (ভিজিট : ২৯৬)
বর্ণবাদী বৈষম্য দীর্ঘদিন যাবৎ চলে আসা এক অপ্রিয় সত্য। কিছুদিন পরপর এ নিয়ে বিশে^ তোলপাড় হয়। সা¤প্রতিক সময়ে আমেরিকায় এমন এক পরিস্থিতিতে এ নিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে। উন্নতির রোল মডেল দেশগুলোর এই বীভৎস চিত্র প্রত্যক্ষ করছে পুরো পৃথিবী। প্রতিটি পদে পদে তারা শ্রেণি বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।
মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন এবং তার জন্য মনোনীত করেছেন একমাত্র ইসলাম। ইসলাম কখনও বর্ণবাদের শিক্ষা দেয় না। বর্ণবাদের ভিত্তিতে মানুষের মাঝে পার্থক্য ও ভেদাভেদের শিক্ষা ইসলাম সমর্থন করে না। আল্লাহপাক মানুষকে বিভিন্ন ভাষা ও বিভিন্ন জাতি-বর্ণে বিভক্ত করে সৃষ্টি করেছেন তাদের পরিচয় লাভের জন্য। আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন, হে মানব জাতি, আমি তোমাদেরকে একজন পুরুষ এবং একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি। তারপর তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীতে বিভক্ত করে দিয়েছি যাতে তোমরা পরস্পরকে চিনতে পার। তোমাদের মধ্যে যে অধিক পরহেজগার সে-ই প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর কাছে অধিক মর্যাদার অধিকারী। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাজ্ঞানী ও সবকিছু সম্পর্কে অবহিত। (হুজুরাত : ১৩)
আয়াতে আল্লাহ তাআলা দুটি মৌলিক বিষয়ে কথা বলেছেন। এক. মানুষকে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন গোত্রে ও বর্ণে সৃষ্টি করেছেন বিশেষ এক উদ্দেশ্যে আর তা হচ্ছে একে অপরকে যেন চিনতে পারে জানতে পারে। আমাদের সকলের সৃষ্টি এক ও অভিন্ন বাবা আদম থেকে। সকলের উপাদনও এক। পবিত্র কালামে পাকে আল্লাহ তায়ালার অমোঘ ঘোষণাÑ হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গিনীকে সৃষ্টি করেছেন। আর বিস্তার করেছেন তাদের দুজন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী। আর আল্লাহকে ভয় কর। যার নামে তোমরা একে অন্যের কাছে অধিকার দাবি কর এবং আত্মীয়-জ্ঞাতিদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন কর। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে সচেতন রয়েছেন। (সূরা নিসা : ১)
এমন নয় কিছু গোত্রের মানুষকে দামি কোনো উপাদান দিয়ে সৃষ্টি করেছেন আর অন্য এলাকার লোকদের নি¤œমানের উপাদান দিয়ে সৃষ্টি করেছেন।
দুই. মানুষের সম্মান ও মর্যাদার ভিত্তি কী হবে সে ব্যাপারে আল্লাহ আমাদের বলে দিয়েছেন। জন্মগতভাবে সকলেই সমান। কিন্তু শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করবে তার নৈতিকতা ও খোদাভীরুতা দিয়ে। তাই যার মাঝে যত বেশি খোদাভীরুতা থাকবে সে তত বেশি সম্মানিত।
বিশ^নবী মুহাম্মদ (সা.) এ ব্যাপারে আমাদের সামনে উত্তম আদর্শ রেখে গেছেন। এক হাদিসে তিনি বলেছেন, আরবের ওপর কোনো আজমের, আজমের ওপর কোনো আরবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই। তেমনি সাদার ওপর কালোর বা কালোর ওপর সাদার কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই। মর্যাদার ভিত্তি হলো কেবল তাকওয়া। (বায়হাকী)
রাসূল (সা.) হযরত বিলাল (রা.)-কে মসজিদে নববীর মুয়াজ্জিন বানিয়ে বিশ^বাসীকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন ইসলামে বর্ণবাদের কোনো স্থান নেই। হযরত বেলাল (রা.) ছিলেন কালো নিগ্রো এক গোলাম। রাসূল তাকে ইমামের পরেই যার স্থান সেই স্থান দিয়েছেন। বর্ণবাদের বৈষম্য ঘোচাবে একমাত্র ইসলামী অনুশাসন।
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর যিনি আমাদেরকে ইসলামের মতো নিয়ামত দিয়েছেন।





সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close