ই-পেপার শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪

অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পুনর্বহালে অধিক সাবধান হতে বললেন ব্যবসায়ীরা
প্রকাশ: রবিবার, ৭ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম  (ভিজিট : ৯৮)
লকডাউন-পরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক কর্মকাÐ পুনর্বহালের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে ‘রিসারজেন্ট বাংলাদেশ’ নামে ব্যবসায়ীদের নবগঠিত একটি মঞ্চ। শনিবার এক ভার্চুয়াল আলোচনায় প্ল্যাটফর্মটি লকডাউন প্রস্থান কৌশল কাঠামোর মডেল তুলে ধরে এই সুপারিশ করে।
তারা বলেন, লকডাউন প্রস্থান কৌশল কাঠামোর মূল লক্ষ্য হতে হবে কোভিড-১৯-এর কোনো রকম ঝুঁকি ছাড়াই কীভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাÐ ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রার গতিকে ফিরিয়ে আনা যায়। কেন্দ্রীভ‚ত পর্যালোচনা এবং পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির আলোকে সাবধানতা পর্যালোচনা, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোকে বিশেষায়িত জোনের আওতায় আনা, ধাপে ধাপে খুলে দিতে নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক খাত বা সামাজিক খাত সুনির্দিষ্টকরণসহ চ্যালেঞ্জ নির্ধারণের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি নিহাদ কবির বক্তব্য রাখেন। এরপর লকডাউন থেকে কীভাবে বের হয়ে আসা যায় তার ওপর প্রস্তাবিত কৌশল-কাঠামো এবং রিসারজেন্ট বাংলাদেশের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ। বিল্ড চেয়ারম্যান আবুল কাসেম খান বেসরকারি খাতের দৃষ্টিতে তার মতামত তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ, বেসিসের সাবেক সভাপতি হাবিবুল্লাহ এন করিম, সাবেক আইন সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আব্দুল করিম, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভ‚ঁইয়া, সিপিডির ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, অক্সফোর্ড বিশ^বিদ্যালয়ের এনএইচএস ট্রাস্ট ডাক্তার শাকিল ফরহাদ, ডেলয়েটের নির্বাহী উপদেষ্টা শরিফ ইসলাম, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলাম, পিডবিøউসির পরিচালক প্রাণশু জৈন, অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসাদ ইসলাম, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক রাশেদুর রহমান এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম।
‘রিসারজেন্ট বাংলাদেশ’ মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, বিল্ড এবং পলিসি এক্সচেঞ্জের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত একটি প্ল্যাটফর্ম।
এমসিসিআই সভাপতি নিহাদ কবির বলেন, প্রবৃদ্ধি কী হবে না হবে এটা নিয়ে এখন ভাববার সময় নয়। এখন মূল ভাবনার বিষয় হচ্ছে, বৃহত্তর অর্থনীতির স্বার্থে কীভাবে লকডাউন পরিস্থিতি থেকে সর্বোচ্চ জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে বের হয়ে আসা যায়। যদি করোনা পরিস্থিতি খুব একটা স্থিতিশীলতার দিকে সহসাই না যায় তবে তিনি অল্প কিছুদিনের জন্য পুনরায় কঠোর লকডাউন দেওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন, যাতে সামগ্রিক অর্থনীতি সামনে একটি সুদিন দেখতে পায়। চাহিদা ও জোগানের সাপ্লাই চেইন যদি স্বাভাবিক হয়ে আসে তবে অর্থনীতি আবারও তার গতি ফিরে পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ বলেন, কোভিড-১৯ প্রাদূর্ভাবের ফলে বৈশি^ক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি এ বছর ৩ শতাংশ কমে যেতে পারে। বৈশি^ক বাণিজ্য ১৩-৩০ শতাংশ কমবে। এশিয়ার রফতানি ৩৬ শতাংশ কমে আসতে পারে এবং সারাবিশে^ প্রায় ১৯৫ মিলিয়ন কর্মজীবী তাদের চাকরি হারাবে। কিন্তু প্রকৃত ক্ষতি নিরূপণে ও করোনার প্রভাব যাচাই করতে আমাদের সঠিক, নির্ভরযোগ্য, নির্ভুল তথ্য-উপাত্ত প্রয়োজন।
ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ কুটির, অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাগুলোর সুরক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। কর্মসংস্থান সৃষ্টি এখন একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ বলে তিনি মন্তব্য করেন। তবে তিনি এ মহামারি থেকে উত্তরণের জন্য স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সমন্বয় ও সরকারের বিধিগুলোর কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি বলে মত দেন।
সিপিডির ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। আর্থ-সামাজিক খাতে যাতে করে কোনোরকম অসামঞ্জস্যতার সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন তিনি।






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close