ই-পেপার মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

ঈশ^রগঞ্জে বাড়ছে কেঁচো সারের ব্যবহার
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম আপডেট: ০২.০৭.২০২০ ২:০৪ এএম  (ভিজিট : ১২০)
পরিবেশ বান্ধব, মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি ও ফসল উৎপাদনে অবদান রাখায় ঈশ^রগঞ্জে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার। বাড়ছে এর ব্যবহার। জমিতে অতি মাত্রায় বালাই নাশক, আগাছা নাশক, কৃত্রিম হরমোন ও রাসায়সিক সার ব্যবহার করায় দিন দিন মাটির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয়ে জৈব পদার্থের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে ভূমিকা রাখছে এই কেঁচো সার। কেঁচো সার একটি প্রাকৃতিক জৈব সার। বালাই নাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহারে বিনষ্ট মাটির উর্বরতা শক্তি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম। মাটির উর্বরতা শক্তি ফিরিয়ে আনতে ঈশ^রগঞ্জের ইতোমধ্যে ছয় জন কৃষক কৃষি বিভাগের সঙ্গে পরামর্শ করে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন শুরু করেছেন। তারা উৎপাদিত সার নিজের জমিতে ব্যবহার করে ধান পাট ও শাক-সবজির প্রচুর ফলন পেয়েছেন। উপজেলার পাইকুড়া গ্রামে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় কৃষক মোজাম্মেল হক বাড়ির আঙ্গিনায় ছায়াযুক্ত স্থানে ১০টি রিং স্থাপন করে পুরনো গোবর আর রেড বেঙ্গল কেঁচো দিয়ে রিংগুলো ঢেকে রেখেছেন। প্রতিটি রিংয়ে দুই হাজার থেকে দুই হাজার ৫শটি কেঁচো রয়েছে। কেঁচোগুলো রিংয়ের গোবর খেয়ে মল ত্যাগ করে। এই মল চা পাতার মতো হালকা ও ঝুর ঝুর হয়ে রিংয়ের ওপর দিকে উঠতে থাকে। প্রথম এক মাস পর রিংগুলো থেকে ৫০ থেকে ৬০ কেজি ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরি হয়। পরে প্রতি এক সপ্তাহ পর পর সার উত্তোলন করা যায়।
কৃষক মোজোম্মেল হক জানান, তার উৎপাদিত কম্পোস্ট সার ১০ টাকা কেজি দরে নিজ এলাকার চাহিদা মিটিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। যার ফলে তিনি বাণিজ্যিকভাবে এ কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করেছেন। কৃষক মোজাম্মেলের ফসলের আশানুরূপ ফলন দেখে গ্রামের মানুষ ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার ব্যবহারে আকৃষ্ট হচ্ছেন।
ওই ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলী আখছার খান জানান, ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহার করলে জমিতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমে আসে মাটিতে জৈব উপাদান বৃদ্ধি পায়, পানির ধারণক্ষমতা বাড়ায়, বাটির বুনট উন্নত করে, শিকর বিস্তার সহজ করে এবং উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান জোগায়। এই সার রাসায়নিক সারের মূল্যের অর্ধেক বা তিন ভাগের এক ভাগ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাধন কুমার গুহ মজুমদার জানান, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ঈশ^রগঞ্জে ১২ জন ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরির উদ্যোক্তা তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৬ জন উদ্যোক্তা তৈরি করা হয়েছে।







সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close