সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে সারা দেশে অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল শুনানি শেষে ৩৫ কার্যদিবসে ৪৯ হাজার ৭৫০ জন আসামির জামিন মঞ্জুর হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের মুখপাত্র ও বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান শুক্রবার এ কথা জানান।
তিনি জানান, এর মধ্যে ২৮ জুন থেকে গতকাল ২ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে ১০ হাজার ৮৬৬টি জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি এবং ৪ হাজার ৯৬০ জন আসামির জামিন মঞ্জুর হয়েছে। ভার্চুয়াল কোর্ট চালুর পর অধস্তন আদালতে ১১ মে থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত মোট ৩৫ কার্যদিবসে সারা দেশে মোট ৯৫ হাজার ৫২৩টি জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে ৪৯ হাজার ৭৫০ জন আসামির জামিন মঞ্জুর হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ভার্চুয়াল শুনানিতে মোট জামিন প্রাপ্ত শিশুর সংখ্যা ৬০৮ জন। এ পর্যন্ত সমাজসেবা অধিদফতর এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহায়তায় আভিভাবকের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে জামিন প্রাপ্ত ৫৮৩ জন শিশুকে।
প্রসঙ্গত, করোনার সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ৯ মে ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০’ শিরোনামে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। ফলে অডিও-ভিডিও বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনার সুযোগ তৈরি হয়। অধ্যাদেশ জারির পর সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন থেকে এ বিষয়ে ১০ মে প্র্যাকটিস নির্দেশনা (ব্যবহারিক দিকনির্দেশনা) জারি করা হয়। সে অনুযায়ী ১১ মে থেকে আদালতে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে কার্যক্রম শুরু হয়, যার মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগের ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায়ের যাত্রা শুরু হয়।