ই-পেপার শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

বান্দরবানে ৬ জনকে গুলি করে হত্যা
প্রকাশ: বুধবার, ৮ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম  (ভিজিট : ১১৮)
সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের বাঘমারা এলাকায় সন্ত্রাসীরা বাড়িতে ঢুকে খাবার রান্না করার সময় গুলি করে জনসংহতি সমিতি জেএসএসের (সংস্কারপন্থি) ছয় নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরও তিনজন। জনসংহতি সমিতিই সংক্ষেপে জেএসএস নামে অভিহিত হয়ে থাকে।
মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের সবাই পার্বত্য  চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (সংস্কারপন্থি) কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মী বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি মো. শহীদুল ইসলাম। নিহতরা হলেনÑ বিমল কান্তি চাকমা (৬০), ডেভিড মারমা (৫০), জয় ত্রিপুরা (৪২), জিতেন ত্রিপুরা (৪২), মিলন চাকমা (৬০) ও রতন সেন তঞ্চঙ্গ্যা (৬০)। এর মধ্যে রতন সেন তঞ্চঙ্গ্যা দলের বান্দরবান জেলা কমিটির সভাপতি। সন্ত্রাসীদের গুলিতে যারা আহত হয়েছেন তারা হলেনÑ নিরু চাকমা (৩৭), বিদ্যুৎ চাকমা (৫০) ও হ্লাওয়ং চিং (২৪) মারমা। আহত তিনজন বান্দরবান সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে রতন সেন তঞ্চঙ্গ্যার বাড়িতে খাবারের রান্না চলছিল। এ সময় হঠাৎ কয়েকজন পোশাকধারী সন্ত্রাসী বাড়িতে ঢুকে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই জনসংহতি সমিতির (সংস্কারপন্থি) দলের ছয় নেতাকর্মী নিহত হন। এ ঘটনায় মূল দল জনসংহতি সমিতিকে (সন্তু লারমা) দায়ী করেছেন সংস্কারপন্থি গ্রুপের নেতারা।
অন্যদিকে বাঘমারা বাজারপাড়ার লোকজন জানিয়েছে, দু’মাস ধরে বাঘমারা ও নোয়াপতং এলাকায় জেএসএস-এমএন লারমা দলের নেতাকর্মী-সদস্যরা অবস্থান করছেন। তারা সবাই বহিরাগত এবং খাগড়াছড়ির চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা। গত মাসের শেষদিক থেকে তারা বাঘমারা বাজারে অফিস ও বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে। তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় এবং জেএসএস মূল দলের নেতাকর্মীদের খুঁজতে থাকে। গত ১৫ জুনও একবার রতন তঞ্চঙ্গ্যার বাড়ি লক্ষ করে গুলি ছোড়া হয়েছিল। তখনও জেএসএস-এমএন লারমা দলের এক সদস্যকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
জেএসএস-এমএন লারমা দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মালেক বম জানান, জনসংহতি সমিতির মূল দলের সশস্ত্র ক্যাডাররা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। সকালে তারা খাওয়া-দাওয়া করার জন্য বাঘমারা বাজারের অফিস থেকে দলের সভাপতি রতন তঞ্চঙ্গ্যার বাড়িতে এসেছিল। এ সময় কাছ থেকে জেএসএস-মূল দলের ক্যাডাররা তাদের ওপর গুলি ছোড়ে। এতে নিহত ছয়জনের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি প্রগতি চাকমা ওরফে প্রদীপ, বিমল কান্তি চাকমা ওরফে বিধু বাবু, কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদকক ডেভিড মারমা রয়েছে। দলের প্রতিরক্ষার দায়িত্বে থাকা সদস্যরা বাইরে অবস্থান করার সুযোগে তাদের ওপর সশস্ত্র হামলা করা হয়েছে বলে মালেক বম জানান।
বান্দরবান সদর থানার ওসি শহীদুল ইসলাম জেলা জনসংহতি সমিতির (সংস্কারপন্থি) সাধারণ সম্পাদকের বরাত দিয়ে জানান, সকালে সশস্ত্র গ্রুপের কয়েকজন ঘরে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থলেই ছয়জনকে হত্যা করে। এ সময় আরও তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
ওসি জানান, তবুও আমরা ঘটনা তদন্ত করছি। তদন্ত করার পর বিস্তারিত জানাতে পারব। ঘটনাস্থল পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘিরে রেখেছে। ম







সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close