ই-পেপার শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪

টাঙ্গাইলে চারাবাড়ী সড়কে ধস
প্রকাশ: বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:১১ পিএম  (ভিজিট : ১১০)
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চারাবাড়ীতে দ্বিতীয়বারের মতো টাঙ্গাইল-তোরাপগঞ্জ সড়কের অর্ধেকের বেশি অংশ ধসে গেছে। এতে তিন দিন ধরে পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে শহরের সড়ক যোগাযোগ প্রায় বন্ধ রয়েছে। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন সদর উপজেলার চরাঞ্চলের কাতুলী, হুগড়া, কাকুয়া, মাহমুদ নগর ও নাগরপুরের ভাড়রা ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ চলাচল করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধভাবে নদীতে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন এবং সেই বালু নেওয়ার জন্য নদীর পার দিয়েই ট্রাক আসা যাওয়ার কারণে ওই স্থানই বার বার ধসে পড়ছে। তাই অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। এদিকে রাস্তা সচল করার জন্য এলজিইডির পক্ষ থেকে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, বর্ষার শুরু থেকে ব্রিজের ৫০০ গজ দক্ষিণে কয়েকটি অবৈধ ড্রেজারের মাধ্যমে নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হয়। সেই বালু ট্রাক দিয়ে ব্রিজের পশ্চিম পাশে লিংক রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়ার সময় ভাঙনের স্থানে প্রচুর চাপ পড়ে। ফলে রোববার ভোরে ওই রাস্তার মাটি ধ্বসে গিয়ে টাঙ্গাইল-তোরাপগঞ্জ সড়কের যোগাযোগ ব্যাহত হয়েছে। অবৈধ ড্রেজিং এর বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানালেও প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেয়নি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা ধসে যাওয়ায় ব্রিজের ওপর দিয়ে মানুষ হেঁটে চলাচল করছে। সিএনজিচালিত ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা উভয় পাড়ে যানবাহন পার্কিং করে রেখেছেন।
সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আ. মজিদ জানান, তিন দিন হলো রাস্তাটি ধসে গেছে। যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়াও ব্রিজের নিচের অবস্থা ভয়াবহ খারাপ। যেকোনো সময় ব্রিজটি ভেঙে যেতে পারে। এখন ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার করা দরকার তা না হলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
কাতুলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নায়েব আলী জানান, নদী থেকে অবৈধ ড্রেজিংয়ের কারণে ভারী ট্রাক চলাচল করে একই স্থানে বার বার ধসে যাচ্ছে। তাই অবৈধ ড্রেজিং বন্ধের দাবি জানান তারা।
কাতুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল আলী জানান, ট্রাক মোড় নেওয়ার সময় অধিক চাপে বারবার রাস্তাটি ধসে পড়ে। ফলে পশ্চিম টাঙ্গাইলের মানুষ খুব কষ্টে শহরে যাতায়াত করছে।
অবৈধ ড্রেজিংয়ের বিষয়ে প্রশাসনকে অতিহিত করা হলেও অবৈধ ড্রেজার বন্ধ হয়নি। টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাজাহান আনছারী জানান, ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শক করে এক হাজার জিও ব্যাগ ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জিও ব্যাগ ফেলা শেষ হলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে।
টাঙ্গাইল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম আজম জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থায়ী সমাধানের জন্য ঢাকায় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।





সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close