ই-পেপার শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ছাত্রলীগ নেতাসহ ৬ জনের  বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
প্রকাশ: বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:৫৩ পিএম আপডেট: ২৩.০৯.২০২০ ১২:২৬ এএম  (ভিজিট : ১২৬)
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নথি বের করে জালিয়াতির মাধ্যমে তার (প্রধানমন্ত্রীর) সিদ্ধান্ত বদলে দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি (বহিষ্কৃত) তরিকুল ইসলাম মমিনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
সম্প্রতি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানা পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রভুক্ত অপর আসামিরা হলেনÑ  প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মচারী ফাতেমা খাতুন, নাজিম উদ্দীন, রুবেল, নর্থ-সাউথ বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র ফরহাদ হোসেন ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমডোর এম আবদুস সালাম আজাদ।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, নর্থ-সাউথ বিশ^বিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে ওই বিশ^বিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এনামুল হক, বুয়েটের প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. আবদুর রউফ এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমডোর এম আবদুস সালাম আজাদের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এই নথি প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করার পর তিনি অধ্যাপক ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন। পরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নথিটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর প্রস্তুতি পূর্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমার কাছে ফাইল এলে তিনি এম আবদুস সালাম আজাদ অনুমোদন পাননিÑ গোপনীয় এ তথ্য ফোনে ছাত্রলীগ নেতা তরিকুলকে জানিয়ে দেন। এরপর তরিকুলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ১ মার্চ নথিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কৌশলে বের করে ৪ নম্বর গেটের সামনে আসামি ফরহাদের হাতে তুলে দেন ফাতেমা। এ কাজের জন্য ফাতেমাকে আসামিরা ১০ হাজার করে বিকাশে মোট ২০ হাজার টাকা দেয়।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, এরপরই সেই নথিতে আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া টিক চিহ্নটি ‘টেম্পারিং’ করে সেখানে ক্রস চিহ্ন দেয়। একইভাবে অধ্যাপক মো. আবদুর রউফের নামের পাশেও ক্রস চিহ্ন দিয়ে এয়ার কমডোর এম আবদুস সালাম আজাদের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেয়। পরে আসামিরা গত ৩ মার্চে নথিটি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠায়। এসব ঘটনা নিয়ে ভাটারা এলাকার সানফ্লাওয়ার রেস্টুরেন্টে আসামি নাজিমের সঙ্গে তরিকুল ও ফরহাদ শলাপরামর্শ করে। তবে তাদের জালিয়াতিটি ধরা পড়ে যায়।
জালিয়াতির এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম বাদী হয়ে গত ৫ মে মামলা করেন। মামলার পরবর্তীতে ছাত্রলীগ নেতা তরিকুলকে ভোলা এবং আসামি ফরহাদকে নোয়াখালী থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়াও আসামি ফাতেমা, রুবেল ও নাজিমকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারা এখন কারাগারে। এ মামলার আসামি আবদুস সালাম আজাদ পলাতক। আসামিদের মধ্যে তরিকুলসহ চারজন অভিযোগের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনার পর তরিকুলকে ছাত্রলীগের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।





সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close