ই-পেপার শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪

পরীক্ষাতেই ভর্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে
প্রকাশ: রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০, ১১:৩৯ পিএম আপডেট: ১৮.১০.২০২০ ১২:২৫ এএম  (ভিজিট : ১৯৭)
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রে পরীক্ষা না নিয়ে অনলাইন বা অফলাইনে ‘রিমোট এক্সাম সিস্টেমস’-এর মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। শনিবার উপাচার্যদের সংগঠন বিশ^বিদ্যালয় পরিষদের সভায় ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার করোনার কারণে সশরীরে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া যাবে কি না, সে প্রশ্নটি সামনে এসেছে। এ ছাড়া এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সরাসরি না নিয়ে জেএসসি, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার গড় ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ অবস্থায় এইচএসসির ফলের পয়েন্ট বিশ^বিদ্যালয়ের ভর্তিতে যুক্ত হবে কি না, সেটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এবার পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা কীভাবে হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব বিষয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে বিকল্প ব্যবস্থায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর। সেখানে রিমোট এক্সাম পদ্ধতিতে কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে, পরীক্ষার্থীরা কীভাবে অংশ নেবে তা তুলে ধরেন। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, এ পদ্ধতিতে অফলাইন কিংবা অনলাইন দুই পদ্ধতিতেই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া যাবে। শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এটি একটি আন্তর্জাতিকমানের পরীক্ষা পদ্ধতি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিশ^বিদ্যালয়ের পরিষদ সভাপতি ও চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল আলম সময়ের আলোকে জানান, ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা করা হবে। গত বছরের মতো করেই বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এক্ষেত্রে গুচ্ছ পদ্ধতিতেও ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি উল্লেখ করে তিনি জানান, অনলাইন বা অফলাইনে রিমোট এক্সাম পদ্ধতিতে নেওয়া যায় কি না এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হবে। এখনও সময় আছে। তাই এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। বর্তমানে দেশে ৪৬টি পাবলিক বিশ^বিদ্যালয় থাকলেও ৩৯টিতে  সরাসরি শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ^বিদ্যালয় (ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয় ছাড়া বাকি বিশ^বিদ্যালয়গুলোকে তিনটি গুচ্ছ করে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এর মধ্যে কৃষি বিশ^বিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে একটি, সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে আরেকটি এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে আরেকটি গুচ্ছ করে এই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। কিন্তু এবার করোনার কারণে সশরীরে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া যাবে কি না, সে প্রশ্নটি সামনে এসেছে। এ ছাড়া এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সরাসরি না নিয়ে জেএসসি, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার গড় ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ অবস্থায় এইচএসসির ফলের পয়েন্ট বিশ^বিদ্যালয়ের ভর্তিতে যুক্ত হবে কি না, সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে আটকে যাওয়া উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা হচ্ছে না। জেএসসি ও এসএসসির ফলের গড় করে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে করে প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী এবার এইচএসসিতে পাস করছে। গত ১ এপ্রিল থেকে এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল, যাতে অংশ নেওয়ার কথা ছিল প্রায় ১৪ লাখ পরীক্ষার্থীর। কিন্তু দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে করে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও আটকে যায়। বছর প্রায় শেষ হয়ে আসায় এ পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। উচ্চ মাধ্যমিকের পরই শিক্ষার্থীরা বিশ^বিদ্যালয় পর্যায়ের লেখাপড়ায় যায়। ভবিষ্যতে তারা কীভাবে কোন পেশায় যেতে পারবে, এ পর্যায়েই তা অনেক ক্ষেত্রে নির্ধারিত হয়ে যায়। ফলে এইচএসসির ফল শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু মহামারির এই নজিরবিহীন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই প্রথম পরীক্ষা না নিয়ে বিকল্প মূল্যায়নে যেতে হয় সরকারকে। এর আগে এ বছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বাতিল করে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা বা মূল্যায়নের নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। নভেম্বরে এসব পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছিলেন, যারা এসএসসি পাসের পর এইচএসসিতে (কেউ বিজ্ঞান থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বা মানবিকে ভর্তি) বিভাগ পরিবর্তন করেছে, তাদের মূল্যায়নের জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি বিভাগ পরিবর্তন করা শিক্ষার্থীদের বিষয়টি ঠিক করবে। তাদের পরামর্শে বিভাগ পরিবর্তনকারীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মূল্যায়নের ক্ষেত্রে জেএসসি এবং এসএসসির কত শতাংশ করে নেওয়া হবে প্রশ্নে মন্ত্রী বলেনÑ এই পরামর্শক কমিটি সেটি নির্ধারণ করবে। তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষার ভর্তি কীভাবে হবে এখনই বলা সমীচীন হবে না। আলাপ-আলোচনা করে ঠিক করা হবে বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি কীভাবে হবে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে বিশ^বিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তির আশা প্রকাশ করেন তিনি।







সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close