প্রকাশ: রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২০, ১০:১৪ পিএম (ভিজিট : ১০৬)
ষ ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ব্যবহার অনুপযোগী ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অব্যবহৃত এবং পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে ঝালকাঠি সরকারি কলেজ অধ্যক্ষের বাসভবন। এ নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরে বারবার চিঠি দিলেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না তারা। অথচ অধ্যক্ষের বেতন থেকে প্রতি মাসে মোটা টাকা ভাড়া বাবদ কেটে নেওয়া হচ্ছে। অপরদিকে বাসা ভাড়া করে থাকায় দুদিকেই আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন অধ্যক্ষ।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ঝালকাঠি সরকারি কলেজ অধ্যক্ষের জন্য ১৯৯৩ সালে নির্মিত ডরমেটরি ভবনের কক্ষগুলো অত্যন্ত সরু এবং পাশের চলাচলের রাস্তার চেয়ে নিচু হওয়ায় তা শুরু থেকেই ব্যবহারের অযোগ্য। তারপর থেকেই প্রত্যেক অধ্যক্ষের (একজনের ২ বছর বাদে) বেতন থেকে ডরমেটরি ভাড়া বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা কেটে নেওয়া হয়। বর্তমানে ওই ডরমেটরি ভবনের ফ্লোর নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টি হলে বা পানি বৃদ্ধি পেলে ফ্লোর তলিয়ে যায়। ভবনের পাশেই পুকুর থাকায় অনেক সময় সাপের উপদ্রবও দেখা যায় ভবনটিতে। অনুপযোগী পরিবেশের কারণে কোনো কর্মচারীও থাকতে না চাওয়ায় অব্যবহৃত এবং পরিত্যক্ত অবস্থায়ই রয়েছে ভবনটি। কিন্তু কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আনছার উদ্দিনের মাসিক বেতন থেকে ভাড়া বাবদ প্রতি মাসে টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরে একাধিক চিঠি দেওয়া হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি অধিদফতর।
অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আনছার উদ্দিন বলেন, বাসের অনুপযোগী হওয়ায় অধ্যক্ষের বাসভবনে আমি থাকছি না। তবুও আমার বেতন থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে সাত লাখ টাকা বাড়ি ভাড়া বাবদ কেটে নেওয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরকে একাধিকবার চিঠি দিয়ে ভবন সম্পর্কে অবহিত করা হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। জেলা প্রশাসককে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।