জাতীয় যুব দিবস আগামী রোববার উদযাপিত হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে এবার ১ নভেম্বর জাতীয় যুব দিবসের নামকরণ করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস, ২০২০’। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে যুব সমাজের সৃজনশীলতা, আত্মপ্রত্যয় ও তাদের কর্মস্পৃহার প্রতি আস্থা রেখে মুজিব বর্ষে বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মুজিব বর্ষের আহŸান, যুব কর্মসংস্থান।’ দিবসটিতে সফল ২৬ যুবককে জাতীয় যুব পুরস্কার দেওয়া হবে। এ ছাড়া যুব দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকেট ও খাম উন্মোচন করা হবে। দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায়
 
বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বঙ্গবন্ধু যুব দিবস উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল জানান, রোববার সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষিত সফল যুবক ও যুব নারীদের মধ্য থেকে আত্মকর্মসংস্থান প্রকল্প স্থাপনে দৃষ্টান্তমূলক অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ২১ জনকে জাতীয় যুব পুরস্কার দেওয়া হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের যুগোপযোগী দিকনির্দেশনার আলোকে চলমান প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ট্রেডের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত নতুন ট্রেড প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করে যুবদের দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে যুব উন্নয়ন অধিদফতর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে গত ৩০ জুন পর্যন্ত ৩০ লাখ ২৯ হাজার ৬২৯ জনকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ সময়ে ৭ লাখ ২৮ হাজার ৭০৫ জন কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়েছে বলে জানান জাহিদ আহসান রাসেল।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৩৭টি জেলার ১২৮টি উপজেলায় ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির আওতায় মোট ২ লাখ ৩০ হাজার ৪৬৪ জনকে প্রশিক্ষণ এবং ২ লাখ ২৮ হাজার ১২৯ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ১০ জেলার ১০ উপজেলায় অষ্টম পর্বের কার্যক্রম শুরু হবে।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণের প্রভাবে কিংবা সরকারের ঘরে ফেরা কর্মসূচির আওতায় যারা গ্রামে ফিরে গিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বা পড়বেন, তাদের জন্য গ্রামীণ কর্মসংস্থান বা আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে যুব উন্নয়ন অধিদফতরের প্রস্তাবিত ‘করোনাত্তোর পরিস্থিতিতে যুবকদের জন্য গ্রামে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প’ অগ্রণী ভ‚মিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। এ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ বছরে ১২ লাখ ৫ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং ৫০ শতাংশকে এক লাখ টাকা হারে ঋণ দেওয়া হবে। এ ঋণের সার্ভিস চার্জ হবে ৪ শতাংশ।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে দুই লাখ প্রশিক্ষিত যুবকের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ঋণ বিতরণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রশিক্ষিত যুবকদের ২০ হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ সর্বোচ্চ পাঁচ বছর।