প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২০, ৪:৩৪ পিএম আপডেট: ২৪.১১.২০২০ ৪:৩৮ পিএম (ভিজিট : ২০৫)
বেশ কিছুদিন আগে থেকেই চলমান প্রাথমিক অনুসন্ধানের প্রেক্ষিতে গোল্ডেন মেিনরর ৫৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শুধু তাই নয়, ২০১২ সালে কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে একটি মামলাও করেছিল দুদক। ওই মামলায় মনির হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। যার তদন্ত এখনো শেষ হয়নি।
দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মনিরের বিরুদ্ধে একাধিক অনুসন্ধান ও তদন্ত চলছে। যত দ্রুত সম্ভব অনুসন্ধান শেষ করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দুদক কর্মকর্তা বলেন, মনির হোসেনের তিন কোটি ৮৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬০০ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ পাওয়া গেছে অনুসন্ধানে। র্যাবের অভিযানে জব্দ করা টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণলংকার ও গাড়িসহ ৪৫ কোটি ১৭ লাখ ২৭ হাজার টাকার সম্পদেরও বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ ৪৯ কোটি দুই লাখ ২৫ হাজার ৬০০ টাকার সম্পদে সপক্ষে মনির হোসেন কোনো তথ্য-প্রমাণ দিতে পারেননি। এছাড়া মনির হোসেনের স্ত্রী রওশন আক্তারের নামে দুদকের অনুসন্ধানে তিন কোটি ৭৫ লাখ ৯২ হাজার ২৯৩ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে নোটিশ দেওয়া হবে।
দুদকের অনুসন্ধান সূত্রে আরও জানা যায়, মনির হোসেনের স্ত্রী রওশন আক্তার একজন গৃহিনী। কিন্তু তার এসব সম্পদ অর্জনের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। তিনি ২০১৬ সালের পরে এসব অবৈধভাবে অর্জন করেছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
শুধু তাই নয়, ২০১২ সালে কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে একটি মামলাও করেছিল দুদক। ওই মামলায় মনির হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। যার তদন্ত এখনো শেষ হয়নি।