রাজধানীর বায়ুদূষণের কারণ এবং দূষণরোধে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন সে বিষয়ে পরিবেশ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটির কার্যক্রমের প্রতিবেদন ও অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মাদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পদক্ষেপ নিতে পরিবেশ অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট ১০ প্রতিষ্ঠানকে আলাদাভাবে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার জানান, হাইকোর্টে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫৬০টি অবৈধ ইটভাঁটার মধ্যে ৪৭১টি বন্ধ করেছে পরিবেশ অধিদফতর। এ ছাড়া ১৮টি প্যারালাইসিস ব্যাটারি রিসাইকেলিং বন্ধ করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ১১ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৭০ শতাংশ বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ করেছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করেছে পরিবেশ অধিদফতর। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত ৫২টি মামলা করেছেন। মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহনের ওপর দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। এর আগে ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর এ বিষয়ে আদেশ দেন হাইকোর্ট। জনস্বার্থে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) এক সম্পূরক আবেদনের শুনানির পর বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেন। আদেশে কী কারণে রাজধানীর বাতাস দূষিত হচ্ছে এবং বায়ুদূষণ রোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন সে বিষয়ে নীতিমালা তৈরি করতে পরিবেশ সচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে রাজধানীর রাস্তা ও ফুটপাথে ধুলাবালি, ময়লা ও বর্জ্য অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।