ধান কাটা শেষ। শত শত একর ধানী জমি খালি পড়ে আছে। তাই রেওয়াজ অনুযায়ী শীতের সকাল জমিয়ে তোলে মহিষের লড়াই। পুরনো আমল থেকেই এ লড়াইয়ের প্রচলন করা হয়েছে। স্থানীয়রা বলে থাকেন, শীত জমে না মহিষের লড়াই ছাড়া। এবারের শীতেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এবারও শীতের ভোরে কুয়াশার আচ্ছাদনের মধ্যেই সরগরম হয়ে ওঠে চৌধুরীপাড়ার সদ্য ধান কাটা মাঠগুলো। শীতের মৌসুমের শুরুতে কক্সবাজারের উখিয়ায় জমে উঠেছে মহিষের লড়াই। উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়ায় আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় মঙ্গলবার দীর্ঘ আধাঘণ্টার লড়াইয়ের পর জয়ী হয়েছে গুরামিয়া গ্যারেজ এলাকার মোহাম্মদ জুবায়েরের মহিষ। এ লড়াই দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসে হাজার হাজার মানুষ।
মঙ্গলবার সকালে প্রতিযোগিতায় তিন জোড়া মহিষের লড়াই অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতা চলবে দু’মাস ধরে। গ্রামের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি ধরে রাখতেই এই আয়োজন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। ধান কাটা শেষ, তাই শত শত একর জমি পড়ে রয়েছে খালি। আবারও চাষ হবে দুই মাস পর। এ সুযোগে শীত মৌসুমে এই জমিতে জমে উঠেছে মহিষের লড়াই। প্রতিদিন সকাল ৯টায় লড়াই শুরু হয়। কিন্তু শীত উপেক্ষা করে সকাল ৬টা থেকেই উখিয়ার চৌধুরীপাড়ায় আসতে শুরু করে মানুষ। দূরদূরান্ত থেকে আসা মানুষের পদচারণায় জমে ওঠে মহিষের লড়াই।
নাছিরের মহিষের দৌড় দেখে সামনে এগিয়ে আসে জুবায়রের মহিষ। শুরু হয় লড়াই। এই দুই মহিষের সঙ্গে রয়েছে তাদের মালিকও। থেমে থেমে চলে লড়াই, যা দেখে উল্লসিত হয় দর্শকরা। আধাঘণ্টার এ লড়াইয়ে হার মেনে পালিয়ে যায় নাছিরের মহিষ। আর ২৪ বারের জয়ী মহিষকে হারাতে পেরে দারুণ খুশি নতুন জয়ী জুবায়ের।
আয়োজকরা জানান, গ্রামের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন ধরে রাখতে প্রতিবছর শীত মৌসুমে এ লড়াইয়ের আয়োজন করা হয়।