ষ নিজস্ব প্রতিবেদক
সময় শেষ হয়ে আসছে আয়কর রিটার্ন দাখিলের। আর শেষ দিকে করদাতাদের উপস্থিতি বেড়ে গেছে কর অঞ্চলগুলোতে। চলমান মহামারির মধ্যেও বেশ কিছু কর অঞ্চলে ছিল করদাতাদের উপচে পড়া ভিড়। আবার কোথাও কোথাও একদমই ফাঁকা। বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা, বিজয়নগরের বিভিন্ন কর অঞ্চলে ঘুরে দেখা মিলেছে এমন চিত্রের। করদাতা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্যের সত্যতাও মিলেছে। কর কর্মকর্তারা জানান, আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন দেওয়া যাবে। শেষ সপ্তাহে করদাতাদের চাপ সামলাতে বাড়তি ব্যবস্থা নিয়েছেন তারা। করোনা সংক্রমণ রোধে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। সেগুনবাগিচার কর অঞ্চল-১, ৭, ৮, ১০, ১১ ও বিজয়নগরের কর অঞ্চল ১৪ ঘুরে দেখা গেছে মাস্ক ছাড়া মিলছে না সেবা। কিছু কর অঞ্চলে তাপমাত্রা মেপে সেবাপ্রার্থীদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।
আর রিটার্ন জমা শেষে দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে করদাতাদের আহ্বান জানানো হচ্ছে। এ ছাড়া করদাতাদের উৎসাহ দিতে দেওয়া হচ্ছে আয়কর নিরূপণ এবং আয়কর-সংক্রান্ত তথ্যকণিকা ও প্রীতি উপহার। সেগুনবাগিচার নগর উন্নয়ন অধিদফতরের কর অঞ্চল-১০-এ গিয়ে দেখা গেছে, ৩টি অস্থায়ী রিটার্ন বুথ বসানো হয়েছে। দুপুরের দিকে ভিড় কম থাকায় স্বাচ্ছন্দ্যে কর দিয়ে ফিরে যাচ্ছেন সেবা গ্রহীতারা। বিজয়নগরে আত-ত্বরীক টাওয়ারে কর অঞ্চল-১৪ ঘুরে দেখা গেছে, ভবনের নিচতলায় স্থাপন করা হয়েছে ৬টি আলাদা রিটার্ন গ্রহণ বুথ। প্রতিটি বুথে সার্কেল নম্বর লেখা রয়েছে। করদাতারা লাইনে দাঁড়িয়ে নিজ নিজ সার্কেলে রিটার্ন দাখিল করছেন। এ ছাড়া তথ্য ও সেবাকেন্দ্র থেকে বিভিন্ন সেবা নিচ্ছেন তারা।
রিটার্ন বুথগুলো মনিটরিং করছেন কর কমিশনার। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। করদাতাদের কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তোপখানার সারিকা টাওয়ার ও তার পাশের ভবনে চারটি কর অঞ্চলে প্রায় ২০টি রিটার্ন বুথ বসানো হয়েছে। সেগুনবাগিচার কর অঞ্চল-৭ ও ১১-তে সেবাগ্রহীতার ভিড় ছিল। কর অঞ্চল-১ এবং ৮ ছিল প্রায় ফাঁকা। সেগুনবাগিচার নগর উন্নয়ন অধিদফতর কর অঞ্চল-১০-এ দুপুরে ভিড় কম ছিল। করদাতাদের সেবা দিতে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ব্রুশিয়ার। ব্রুশিয়ারে করমুক্ত আয়সীমা, ন্যূনতম কর, ব্যক্তি করদাতার সারচার্জ, রেয়াতের হার, কোন খাতে বিনিয়োগ রেয়াতযোগ্য, বেতন খাতে করযোগ্য আয় নিরূপণ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার করযোগ্যতা ও কৃষি খাতের আয় নিরূপণের বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আয়কর আইনে রিটার্ন দাখিলের ব্যর্থতা এবং জরিমানাও তুলে ধরা হয়েছে।