পাপকাজ প্রচলনের শাস্তি
আব্দুর রহমান
|
আল্লাহ মানুষকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন পুণ্যের কাজে নিজেকে সাজিয়ে নিতে। পরকালে মানুষ সে পুণ্যের সুফল ভোগ করবে। মৃত্যুর পর পাপ-পুণ্যের সুযোগ না থাকলেও এমন কিছু কাজ আছে যাতে মানুষ কবরে শুয়েও প্রতিদান পেতে থাকে। কিছু কাজের সওয়াব অথবা গুনাহ মৃত্যুর পরও চলমান থাকে। সওয়াবের ক্ষেত্রে সদকায়ে জারিয়া, নেক সন্তান ও মসজিদ নির্মাণ ইত্যাদির কথা আমাদের জানা থাকলেও কোনো ধরনের গুনাহ মৃত্যুর পরও চলমান থাকে সে সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। এখানে এমন কিছু গুনাহের কথা আলোচনা করছি যেগুলো মৃত্যুর পরও পাপের বোঝা ভারী হতে থাকে। অন্যায়ভাবে রক্তপাত করা শক্ত পাপ। কাউকে হত্যা করলে কিংবা কোথাও হত্যার সূচনা করলে এর কুফলও সে ভোগ করতে থাকবে। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম মানবহত্যা করেছে আদম (আ.)-এর পুত্র কাবিল। পৃথিবীতে যত মানুষ হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হবে সবার পাপ সে পাবে। অনুরূপভাবে কেউ যদি কাউকে হত্যার প্রশিক্ষণ দেয় বা হত্যার ধারাবাহিকতা সৃষ্টি করে তা হলে সেও অনুরূপ শাস্তি পাবে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিতÑ তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, কোনো ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হলে, তার এ খুনের পাপের অংশ আদম (আ.)-এর প্রথম ছেলে (কাবিলের) ওপর বর্তায়। কারণ সেই সর্বপ্রথম হত্যার প্রচলন ঘটায়। (বুখারি : ৩৩৩৫)সুদের প্রচলন ঘটানো আরও একটি পাপের ধারাবাহিকতা। আল্লাহ তায়ালা সুদকে কঠোরভাবে হারাম করেছেন। যারা তা অমান্য করবে, তাদের সঙ্গে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যা বকেয়া আছে তা ছেড়ে দাও, যদি তোমরা মুমিন হও। অতঃপর যদি তোমরা না কর, তা হলে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা নাও।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৭৮-২৭৯)। যদি কেউ সুদি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট করে, যত দিন তা থাকবে, তত দিন সেই অ্যাকাউন্টের গচ্ছিত টাকাগুলো সুদি কারবারেই ব্যবহৃত হবে। আর অ্যাকাউন্ট হোল্ডারও তত দিন আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর বিপক্ষে যুদ্ধে লিপ্ত থাকবে। কেউ যদি অ্যাকাউন্ট বন্ধ না করে মারা যায়, তা হলে সে কবরে থেকেই সুদের গুনাহের বোঝা বইতে থাকবে। |