মাদকাসক্ত পুত্রের হাতে প্রাণ গেল পিতার
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম)
|
![]() তিনি ওই এলাকার মৃত সচিন্দ্র ধরের পুত্র ও তিন সন্তানের জনক। একইদিন বিকেলে ধঘাতক পুত্র রিটন ধরকে (৪৫) আটক করে থানা পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক সমস্যা নিয়ে তাদের পরিবারের প্রায় সময় ঝগড়াঝাটি হতো। বুধবার রাতে মাদক সেবক করে রিটন ধর বাড়িতে আসে। পিতাকে ঘরের দরজা খুলতে বলে। পিতা দরজা খুলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন এবং ছেলে মিটন ধরের অনুমতি লাগবে বলে জানায় পিতা। দরজা খুলে না দেয়ার ক্ষোভে টিনের বেড়া কেটে ভিতরে ঢুকে কুপিয়ে খুন করে পালিয়ে যায় রিটন ধর। নিহতের স্বজনরা জানান, আনন্দ মোহন ধর বাড়িতে একা থাকেন। সকাল ১০টার দিকেও ঘুম থেকে না উঠায় খোঁজখবর নেন। বাড়ির দরজা বন্ধ ছিল এবং কোন সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। এক পর্যায়ে বাড়ির টিনের দেওয়াল কাটা দেখতে পান। পরে ভিতরে দেখতে পান রক্তাক্ত লাশ। নিহতের ছেলে মিটন ধর জানান, তার পরিবার ও মাকে তিনি চট্টগ্রাম শহরে থাকেন। সকালে তার পিতার রক্তাক্ত লাশ বাড়ির ভেতরে পড়ে থাকার খবর পান। এরপর তিনি পরিবারের অন্যদের সাথে নিয়ে দ্রুত বাড়িতে আসেন। তার ভাই রিটন ধর একজন মাদকাসক্ত। এ নিয়ে পরিবারের সাথে প্রায় সময় ঝগড়া-ঝাটি লেগে থাকতো। রিটন ধরের স্ত্রী ঝিনু ধর জানান, তার স্বামী মাদকাসক্ত। তাদের ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। তিনি উপজেলায় একটি ছোট চাকুরী করেন। নেশা ও জুয়া খেলার জন্য টাকা না দিলে প্রায় সময় তাকে মারধর করত। স্বামীর অত্যচারে অতিষ্ট হয়ে তিনি সন্তানদের নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন। স্বামীর উপর্যুক্ত শাস্তির দাবীতে থানায় অভিযোগও করেছিলেন। এছাড়া তার মাদকাসক্ত স্বামী পরিবারের কারো কথা শুনতেন না। লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকির হোসাইন মাহমুদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত রিটন ধর পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। |