হিসাব
প্রক্রিয়ার পর এবার পরীক্ষা প্রক্রিয়াকে অটোমেশনের আওতায় আনল ঢাকা
বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এখন থেকে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার
ফরম পূরণ ও প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন অনলাইনে, এমনকি পরীক্ষার ফলাফলও
অনলাইনে প্রকাশ করা হবে। বিশ^বিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে
বুধবার দুপুরে এক অনুষ্ঠানে ‘অটোমেশন সফটওয়্যারের’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। এ সময় অন্যদের মধ্যে
বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নিজামুল হক ভ‚ঁইয়া ও
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
অটোমেশন
সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার
ফরম পূরণ ও প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন অনলাইনেই। পরীক্ষার ফলাফলও
অনলাইনেই প্রকাশ করা হবে। ফল প্রকাশের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে শিক্ষার্থীরা
তাদের প্রভিশনাল সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট অনলাইনেই সংগ্রহ করতে পারবেন।
উপাচার্য
মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বিষয়ক
বিভিন্ন কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশনের উদ্দেশ্যে এই সফটওয়্যার প্রস্তুত করা
হয়েছে। এই সফটওয়্যার তৈরির জন্য সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারসহ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক
কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিশ^বিদ্যালয়ের
জনসংযোগ দফতর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অটোমেশন
সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার
ফরম পূরণ ও প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন অনলাইনেই। পরীক্ষার ফলও অনলাইনেই
প্রকাশ করা হবে। ফল প্রকাশের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে শিক্ষার্থীরা তাদের
প্রভিশনাল সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট অনলাইনেই সংগ্রহ করতে পারবেন। এতে প্রত্যেক
শিক্ষার্থীর জন্য পৃথক প্রোফাইল থাকবে, যেখানে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য, ফল ও
অন্যান্য তথ্য সন্নিবেশিত থাকবে। প্রয়োজনবোধে বিভিন্ন তথ্য হালনাগাদও করা
যাবে। এ ছাড়া সব হল ও বিভাগ অনলাইনে নিজেদের শিক্ষার্থীদের সব তথ্য দেখতে ও
ভেরিফিকেশন করতে পারবে। অটো রোলশিট জেনারেটের মাধ্যমে পরীক্ষার ফল ও
পরীক্ষা বিষয়ক সব পরিসংখ্যান প্রস্তুত করাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম সহজেই করা
যাবে। শিক্ষার্থীরা সাপোর্ট অপশন ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন সমস্যা
অনলাইনেই সমাধানের সুবিধা পাবেন। বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হিসাব
অটোমেশনের মাধ্যমে ডিজিটালাইজড রসিদ সংগ্রহ করে বেতন-ফি সব লেনদেন জনতা ও
অগ্রণী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় করতে পারছেন। এ ছাড়া যেকোনো বাণিজ্যিক
ব্যাংকের কার্ড বা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা (বিকাশ, রকেট, নগদ, শিওরক্যাশ
ইত্যাদি) ব্যবহার করেও কাজগুলো করা যাচ্ছে।
ষ