মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে ভৈরব পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট ফখরুল আলম আক্কাছসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করা হয়েছে। ভৈরব উপজেলার সম্ভুপুর গ্রামের মো. তাবারুক হোসেন নামের এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জ আদালতে এ মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করতে কিশোরগঞ্জ পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার অন্য
আসামিরা হলোÑ কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মির্জা সুলাইমান, ভৈরব পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. আল-আমিন, পৌর কাউন্সিলর মো. দ্বীন ইসলাম, কাউন্সিলর হাবিবুল্লাহ নিয়াজ, পুলিশের এসআই মাজহারুল ইসলাম, পৌরসভার প্রধান সহকারী ইমাম হোসেন, জিল্লুর রহমান, বাদল মিয়া, লিয়াকত আলী ও আ. হেকিম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, একটি ওয়ারিশান সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় গত ২০১৭ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বাদী তাবারুক হোসেনকে আসামিরা তার বাড়ি থেকে পৌরসভায় ডেকে আনেন। এরপর তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন পৌর মেয়র। পরে পৌরসভার প্রধান সহকারী ইমাম হোসেন তার বিরুদ্ধে মামলা দিলে তাকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। তারপর বাদী দুই মাস ১৭ দিন জেল খাটার পর হাইকোর্ট থেকে জামিন পায়। মামলার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি তাবারুক হোসেনকে মুক্তি দিয়ে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়। তারপর করোনার কারণে বিলম্ব হলেও বাদী তাবারুক হোসেন বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-২-এ এই মানহানি মামলা করেন। বাদীর অভিযোগ পৌর মেয়র অন্য আসামিদের সহযোগিতায় তাকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে পুলিশে সোপর্দ করে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়ে তার সম্মানহানি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার এসআই মাজহারুল ইসলাম জানান, তৎকালীন ওসির নির্দেশে পৌরসভায় গেলে মেয়র সাহেব তাবারুক হোসেনকে আমার হাতে তুলে দেন। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা করে পৌর কর্তৃপক্ষ।
পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট ফখরুল আলম আক্কাছ জানান, বাদী তাবারুক হোসেন একজন প্রতারক। আদালতে তার করা মামলাটি আমি আইনিভাবে মোকাবিলা করব।