প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২০, ৬:২৪ পিএম (ভিজিট : ২৬৭)
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) স্নাতক চতুর্থ বর্ষের স্থগিত পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে আগামী ৩ডিসেম্বরের মধ্যে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রদানের দাবি জানান তারা।
মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে অধ্যয়নরত ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিভিন্ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষসহ অন্যান্য বর্ষের চলমান ও তারিখ নির্ধারিত পরীক্ষাসমূহ স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এরপর চলতি বছরের ১৬ এবং ১৯ অক্টোবর পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন এবং স্মারকলিপি পেশ করে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে সুনির্দিষ্ট কোন সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় ১০ নভেম্বর প্রধান ফটকে তালা লাগাতে গেলে পরীক্ষা গ্রহণের আশ্বাস দেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ১৫ নভেম্বর একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় পরীক্ষা গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সর্বশেষ বিগত ২৯ নভেম্বর একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং শেষে জানানো হয় প্রথমে বিভিন্ন বিভাগে স্থগিত মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা সমূহ নেওয়া হবে। এরপর পরিস্থিতি বুঝে পর্যায়ক্রমে স্থগিতকৃত পরীক্ষাসমূহ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এব্যাপারে শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পরীক্ষাসমূহ নেওয়ার ব্যাপারে কোন রূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করায় গত সেপ্টেম্বর মাসে আমরা স্ব স্ব বিভাগে স্থগিতকৃত পরীক্ষাসমূহ নেয়ার ব্যাপারে বিভাগীয় সভাপতি এবং পরীক্ষা কমিটির সভাপতির সাথে যোগাযোগ করি। বিভাগ সমূহ থেকে জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আনুষ্ঠানিক অনুমতি ব্যতীত পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়।
তারা আরো বলেন, দফায় দফায় মানববন্ধনের পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেয়া হলেও এখনো পর্যন্ত লিখিত নির্দেশনা পাইনি। এরপর রুটিন পরীক্ষা শেষ না করেই মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়ার কথা জানিয়েছেন তারা। আমরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী চাকরীর পরীক্ষায় আবেদনের সুযোগ হারিয়েছি। এমতাবস্থায় আগামী ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা পূর্বক সুনির্দিষ্ট কোন নির্দেশনা না পেলে ৬ ডিসেম্বর থেকে আমরা আমরণ অনশনে যাব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনিরুল হাসান বলেছেন, শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে একাডেমিক কাউন্সিল পরীক্ষা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন। তবে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য আমরা প্রথমে ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা নিব। এরপর পর্যায়ক্রমে স্থগিত রুটিন পরীক্ষা নেয়া হবে। ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারীভাবেও যে ছুটি দেয়া হয়েছে সেটাও মাথায় রাখা দরকার। সেজন্য কিছুটা সময় লাগবে। আমরা চাইলেই রাতারাতি কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারিনা, শিক্ষার্থীদের বিষয়টা বুঝতে হবে।