শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য র্যাগিং ও অ্যান্টি বুলিং নীতিমালা চ‚ড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি সাহেদ নুর উদ্দিনের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনে বলা হয়েছেÑ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় সহপাঠীদের
দ্বারা যদি কোনো শিক্ষার্থী বুলিং বা র্যাগিংয়ের শিকার হয়, তাহলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা (বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি, ডিগ্রি কলেজ ও ডিগ্রি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল এবং মাধ্যমিকে প্রধান শিক্ষক) এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। কিন্তু এর আগে বুলিং বা র্যাগিংয়ের সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে কোনো নির্দোষ শিক্ষার্থী মিথ্যা অভিযোগের শিকার না হয়। আবার এসব ঘটনা যেন অপ্রকাশিত না থাকে।’ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘বুলিং ও র্যাগিংয়ে শাস্তির বিষয়েও বলা আছে এ নীতিমালায়। এতে আরও বলা আছে কেউ বুলিং ও র্যাগিং করলে প্রচলিত আইনে সাজা হবে। কেউ অপরাধ করলে তার অপরাধের বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাবেন। এটি তার দায়িত্ব। এই নীতিমালা নতুন শিক্ষা আইনে সংযুক্ত করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রি চৌধুরীর আত্মহত্যার কারণ খুঁজতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। কমিটিতে একজন অতিরিক্ত শিক্ষা সচিব, আইনজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, মনোবিজ্ঞানী ও বিচারক থাকবেন। তারা অরিত্রি আত্মহত্যার ঘটনা ছাড়াও সারা দেশে এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয় জড়িত, কারা দায়ী, এমন ঘটনা রোধে করণীয় এবং এ বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করে হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন জমা দেবেন। ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে নীতিমালা তৈরির পর বুধবার তা আদালতে উপস্থাপন করা হয়।’
২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে ছাড়পত্র (টিসি) দেওয়ার সিদ্ধান্ত এবং শিক্ষার্থীর সামনে বাবা-মাকে অপমান করায় নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি অধিকারী (১৫) আত্মহত্যা করে।