প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ৩:৪০ পিএম (ভিজিট : ৫৬৩)
পেপ গার্দিওলার দলে সম্প্রতি করোনা আক্রান্তের তথ্য নিশ্চিত হবার পর সোমবার স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ম্যানচেস্টার সিটিরএভাটরন সফরের প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে বড়দিনের পরপরই কাইল ওয়াকার ও গাব্রিয়েল জেসুসসহ ক্লাবের দুই সাপোর্ট স্টাফের করোনা আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করেছে সিটি। এক বিবৃতিতে এবার সিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘প্রিমিয়ার লিগের মেডিকেল টিমের পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে দুই ক্লাবের সাথে আলোচনা করেই ম্যাচটি পরিত্যক্ত করা হয়েছে। সাম্প্রতিক কোভিড-১৯ পরীক্ষায় বেশ কয়েকজনের আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই বড়দিনের সময় চারজনের আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। জৈব সুরক্ষা বলয়ের নিরাপত্তার নিরিখে এই আক্রান্তের সংখ্যা পুরো দলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সে কারনেই সম্ভাব্যতা যাচাই করে ম্যাচটি বাতিল করা হলো।
যদিও প্রিমিার লিগের আইনানুযায়ী কোভিড আক্রান্ত একটি ক্লাবের সিনিয়র খেলোয়াড়ের সংখ্যা যদি ১৪ জনের নীচে নেমে যায় তবেই ম্যাচ বাতিলের মত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কালকের ম্যাচটি বাতিল করা হয়েছে বলে লিগ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।
প্রিমিয়ার লিগের এক বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘কেভিড-১৯ পরীক্ষার ফলাফল দেখে আজ সকালে ম্যানচেস্টার সিটির পক্ষ থেকে ম্যাচটি বাতিলের জন্য আমাদের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এখানে বড়দিনের আগে আক্রান্তের কেসগুলোকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এভাবে আক্রান্তের সংখ্যায় আমরাও বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছি। প্রিমিয়ার লিগ মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শের ভিত্তিতে ম্যাচটি বাতিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাবধানতার অংশ হিসেবে বোর্ড ম্যাচটি পুনরায় আয়োজনের ব্যপারে একমত হয়েছে। আগামীকাল আরো এক দফা খেলোয়াড়দের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হবে। আমাদের কাছে খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি জরুরী।’
অনির্দিষ্টকালে জন্য সিটির অনুশীলন মাঠও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পুনরায় খুলে দেবার আগে খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের করোনা পরীক্ষা করা হবে। আগামী রোববার তাদের প্রিমিয়ার লিগের এ্যাওয়ে ম্যাচে চেলসি ও ৬ জানুয়ারি লিগ কাপের সেমিফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবার কথা রয়েছে।
রোববার ব্লুজদের বিপক্ষে ম্যাচটি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে চেলসি ম্যানেজার ল্যাম্পার্ড বলেছেন, ‘আমি মনে করি বিশেষ করে বড়দিনের পর পরিস্থিতি কিছুটা নাজুক হয়ে গেছে। যে কারনে পরবর্তী ম্যাচটি নিয়ে আমি যথেষ্ঠ শঙ্কায় আছি। যদিও কঠিন এই পরিস্থিতিতে প্রিমিয়ার লিগ ও ক্লাবগুলো যথেষ্ঠ দক্ষতার সাথে সব কিছু মোকাবেলা করছে।’
সব মিলিয়ে ইতোমধ্যেই চারটি প্রতিযোগিতায় জড়িত থাকার কারনে পেপ গার্দিলার দল বেশ ব্যস্ত সময় পার করছে। এছাড়া গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার কারনে এক সপ্তাহ দেরীতে তারা এবারের মৌসুম শুরু করেছিল। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত এবারের প্রিমিয়ার লিগে কোন ম্যাচ স্থগিত করা হলো। এর আগে মাসের শুরুতে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়া এ্যাস্টন ভিলা বনাম নিউক্যাসলে ম্যাচটি বাতিল করা হয়েছিল। বাসস