ই-পেপার শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪

তিতুমীরে শোক সভায় বক্তারা
অধ্যাপক সাইফুল হকের মৃত্যু শিক্ষা ক্যাডারে বড় ক্ষতি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ৫:৫৭ পিএম আপডেট: ২৯.১২.২০২০ ৬:০৯ পিএম  (ভিজিট : ১০৭৭)
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের সদ্য প্রয়াত অধ্যাপক সাইফুল হকের শোকসভায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেছেন, এ মৃত্যু শিক্ষা ক্যাডারের অপূরণীয় ক্ষতি। অধ্যাপনা জীবনে সাইফুল হক সরকারি কলেজগুলোতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। তার কর্মে ছিল যোগ্যতার সাক্ষর। 

মঙ্গলবার তিতুমীর কলেজ আয়োজিত শোকসভায় অংশ নেন সাইফুল হকের দীর্ঘদিনের সহকর্মীসহ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক মিলনায়তনে আয়োজিত ওই সভায় প্রয়াত সাইফুল হকের কর্মময় জীবন নিয়ে আলোচনা করা হয়।

শোক সভায় তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আশরাফ হোসেন বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের সহকর্মী সাইফুল হককে হারিয়ে যে শোকার্ত হয়েছি- বোঝানো কঠিন। তবে তাঁর প্রতিটা স্মৃতিই জ্বল জ্বল করছে। নিজের ব্যক্তিজীবন ছাপিয়ে প্রতিষ্ঠানকে যে কদর করতেন তা অতুলনীয়। তাঁর সঙ্গে কাটানো প্রতিটা মুহুর্ত স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। অধ্যাপক সাইফুল হকের মৃত্যু বড় ক্ষতি।  

তিতুমীর কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোসা. আবেদা সুলতানা বলেন, প্রথম থেকেই স্যারকে দেখেছি অনেক আন্তরিক ও আধুনিক একজন শিক্ষক। মানুষ হিসেবে ছিলেন অনেক ইতিবাচক। শিক্ষক, ছাত্র, কর্মচারী সকলের সাথেই ছিলেন আন্তরিক। যে কোন কাজে স্যার ছিলেন অদ্বিতীয়। তিতুমীর কলেজ প্রশাসন স্যারের পরিবারের পাশে থাকবে। কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, তিতুমীরে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করার পরই স্যারের সাথে আমার একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। স্যার সবসময় আমাকে ভাইয়ের মতো দেখতেন। শিক্ষক ছাত্র সবাইকেই স্যার ভালোবাসতেন। তিতুমীরের বাহিরের শিক্ষার্থীদের সাথেও স্যার ছিলেন আন্তরিক। স্যার সব সময় আমাদের অনুপ্রেরণা দিতেন। স্যার ছিলেন শিক্ষার্থী ও সহকর্মী বান্ধব।


অনুষ্ঠানে প্রয়াত সাইফুল স্যারের ছোট ভাই ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল হাসান, আমার জীবনের যত অর্জন সব কিছুর পিছনেই ভাইয়ের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। ভাই আমার উপর ছায়ার মতো ছিল বলেই আমি এই পর্যন্ত আসতে পেরেছি। ভাইদের মধ্যে থেকে সাইফুল ভাইয়ের সাথেই ছিল আমার সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক। ভাই ছিলেন আমার জীবনে একটা স্পিড, যার অনুপ্রেরণা স্নেহময়তার আগলে ছিলাম সব সময়। আমার ভাইয়ের দুই সন্তান পিতৃহীন হলো। ওদের দায়িত্ব আমাকেই নিতে হবে। ভাইকে কথা দিয়েছি ওদের দেখে রাখবো। 

অনুষ্ঠানের শুরুতেই কোরআন তেলওয়াত পাঠ ও অধ্যাপক সাইফুল হকের মৃত্যুতে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এর আগে সোমবার রাতে সরকারি তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতি আয়োজিত ভার্চুয়াল শোকগাঁথায় অধ্যাপক সাইফুল হকের বন্ধু এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) মহাপরিচালক স ম গোলাম কিবরিয়া বলেন, অধ্যাপক সাইফুল হকের মৃত্যু শিক্ষা ক্যাডারে বড় ক্ষত সৃষ্টি করেছে। অনেকেই ভালো সুযোগ পেলে শিক্ষা ক্যাডার পরিপর্তন করে অন্যত্র চলে যান। কর্মজীবনে সাইফুল সবসময় বন্ধুবৎসল নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বশীল ছিলেন। তার কর্মগুলো বেশিরভাই ছিল ইতবাচক। কঠিন সমস্যার সহজ সমাধান বের করতেন। 

উল্লেখ্য, প্রয়াত অধ্যাপক সাইফুল হক সরকারি তিতুমীর কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। ত্রয়োদশ বিসিএসের এই কর্মকর্তা এর আগে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও ইডেন কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। 

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। সাইফুল হকের গ্রামের বাড়ি লক্ষিপুরে। তার একমাত্র মেয়ে ব্র্যাক ইউনির্ভাসিটিতে অধ্যয়নরত আর ছেলে সদ্য বিবিএ শেষ করেছেন।




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close