ই-পেপার শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪

প্রাণ প্রকৃতি রক্ষায় এক অদম্য যোদ্ধা
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ৬:১৭ পিএম আপডেট: ৩১.১২.২০২০ ৮:৫৬ পিএম  (ভিজিট : ৮২২)
মানব সমাজের অনেকেই নির্মম হন পশুপাখি এবং প্রকৃতির  বিরুদ্ধে। আবার মানব মনেই থাকে পশু-পাখির জন্য মমত্ববোধ। সাংবাদিক হৃদয়ের জন্য দ্বিতীয় বাক্যটি প্রযোজ্য। পেশায় তিনি সংবাদকর্মী। বিভিন্ন আঞ্চলিক ও জাতীয় দৈনিকে কাজ করে বর্তমানে তিনি কাজ করছেন বেসরকারি জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেলে জিটিভি ও শীর্ষস্থানীয় অনলাইনে নিউজ পোর্টাল সারাবাংলা ডট নেট এবং জাতীয় দৈনিক সময়ের আলোতে মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে। 

পাশাপাশি বন্যপ্রাণি, পাখি সংরক্ষণ এবং প্রাণির অধিকার আদায়েও সরব তিনি । প্রাণির অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তিনি কষ্ট পান। পরিবেশ বিপর্যয়ে যখন বাস্তুসংস্থান নষ্ট হচ্ছে, নগরায়ন কিংবা বন উজারের ফলে যখন বন্যপ্রাণি আশ্রয় হারাচ্ছে, মানব সৃষ্ট দুর্যোগে যখন পাখি নীড় হারাচ্ছে তখন প্রকৃতির যোদ্ধা হয়ে এগিয়ে এসেছেন সাংবাদিক হৃদয় । 

তার একান্ত চাওয়া সবুজ প্রাণ প্রকৃতি সুরক্ষিত থাকুক। সেই প্রেক্ষিতে সমমনা কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তুলেছেন জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন নামে একটি পরিবেশবাদী সংগঠন। সংগঠনের উদ্যোগে শিকারীদের কাছ থেকে বিভিন্ন বিপন্ন ও বিলুপ্ত পাখি উদ্ধার করে অবমুক্ত করে যাচ্ছে পরিবেশবাদী এই সংগঠনটি। 

সংগঠনটির উদ্যোগে ধারাবাহিক বৃক্ষরোপন,পাখি শিকারিদের কাছ থেকে পাখি উদ্ধার,এমনকি প্রাণ-প্রকৃতি মানবকুলের জন্য কতটুকু উপকারী সেসমস্ত বিষয়ে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হৃদয়ের নেতৃত্বে তৃণমূল পর্যায়ে ধারাবাহিক গণসচেতনতা তৈরী করে যাচ্ছে এই জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন টিম।

হৃদয় দেবনাথ পেশায় সাংবাদিক হলেও পরিবেশ এবং প্রাণ প্রকৃতি রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন অনেকটা নিভৃতে।

গণমাধ্যম কর্মী হয়েও প্রায়শই শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র এমনকি টেলিভিশন চ্যানেলে শিরোনাম হচ্ছেন তিনি। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে সংগঠনের সকলকে নিয়ে ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করার ফলে পাহাড় কাটা,বৃক্ষ উজাড়,পাখি শিকার বন্ধে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন তুলে ধরার পাশাপাশি সংগঠনের উদ্যোগে পাখি ও বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে চিকিৎসা শেষে অবমুক্ত করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত । 

পরিবেশ রক্ষায় সোচ্চার তিনি।কিন্তু এটাও সত্য যত সময় গড়াচ্ছে বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিপক্ষের হুংকার। প্রতিপক্ষের ক্ষমতা তার চেয়ে কয়েক গুন বেশি।কারণ তার প্রতিপক্ষ মানে বিপন্ন পরিবেশ। যেখানে তাঁর সন্তানদের বসবাস। সন্তানের বসবাসের জায়গা যদি বিপন্ন হয় পিতা হিসেবে এর চেয়ে আর কষ্টের কি হতে পারে। এ অবস্থায়ই প্রাণ প্রকৃতি রক্ষায় প্রতিনিয়ত চলছে তার যুদ্ধ। 

হৃদয় দেবনাথ'র এ সংগ্রাম আমাদের চার পাশের পরিবেশ, বিপন্ন বন ও প্রাণ প্রকৃতি নিয়ে।লোকালয়ে আটকে যাওয়া বিভিন্ন বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে  সেগুলোর যত্ন শেষে বনে অবমুক্ত করেন। 

কালের পরিক্রমায় বর্তমানে উজাড় হওয়া বনের বিপন্ন প্রাণীগুলো লোকালয়ে এসে যখন মৃত্যু ঝুঁকিতে পরে  তখন সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে আটকে পড়া স্থান থেকে বন্যপ্রাণীদের উদ্ধার করে তার আপন ঠিকানায় অবমুক্ত করে দিচ্ছেন । গণমাধ্যমে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র নিয়ে কাজ করেন হৃদয় । 

টিভি এবং প্রিন্ট মিডিয়া সহ অনলাইন পোর্টালে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র নিয়ে অসংখ্য প্রতিবেদন তুলে ধরে তিনি লাভ করেছেন ব্যাপক জনপ্রিয়তা। পাখি, সাপ রক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন তিনি। ব্যাঙ, তক্ষক, টিকটিকি, হাতি, বানর, বানরের বেঁচে থাকার নিয়মে ব্যাত্যয় ঘটলে এড়িয়ে যায় না তার চোখ। প্রতিবেদনের মাধ্যমে তিনি সেগুলো তুলে আনেন। তার ক্যামেরায় উঠে আসে প্রাণ প্রকৃতি রক্ষার নানা দিক। 

তিনি তুলে ধরেন পরিবেশের সঙ্গে মানুষের বেঁচে থাকার সম্পর্কের কথা। পাশাপাশি তুলে আনেন বন খেকোদের বন উজার, পাহাড়ের বুক থেকে পাথর উত্তোলনকারীদের দস্যিপনার খবর। একাধিকবার নানা পরিবেশ ইস্যুতে তার প্রতিবেদনে চাকরি হারিয়েছেন খোদ বন বিভাগের শীর্ষস্থানীয় অনেক কর্মকর্তার। এক কথায় পরিবেশ বিষয়ক কোন ইস্যুতে কোন ছাড় নেই তার কাছে । মূলত তার নেতৃত্বে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ধারাবাহিক কাজগুলোর জন্যই টনক নড়ে প্রশাসন ও পরিবেশবিদদের।

হৃদয় দেবনাথ'র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আইডি লক্ষ্য করলে যে কেউ বুঝবেন- সর্বদা প্রাণ ও প্রকৃতি বাঁচানোর জন্য তিনি কি কি  করছেন। এজন্য জীবনের ঝুঁকি নিতেও ভয় পান না তিনি। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করে বৃক্ষরোপন ও সংরক্ষণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০১৮ সম্মানেও ভূষিত হন সাংবাদিক হৃদয় । পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধিতেও তার অবদান রয়েছে। 

করোনার মহামারীতে অসহায় প্রায় তিন'শ পরিবারকে ২০ দিনের খাবার পৌঁছে দিয়েছে সংগঠনের উদ্যোগে। এই তিনশো পরিবারের মধ্যে  ১০০ পরিবার পাখি শিকার কাজে জড়িত ছিল। তাই করোনাকালীন সময়ে কৌশলে 'ছেড়ে দিলে পাখি শিকার মিলবে পনেরো দিনের খাবার' এই স্লুগানকে সামনে রেখে পাখি শিকার করবে না মর্মে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সামনে লিখিতভাবে পাখি শিকার করবে না মর্মে কথা দেয়ায় মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাইল হাওর এলাকায় বসবাসরত মৎস পেশার সাথে জড়িত এই ১০০ পরিবারকে ত্রাণ সাথে একটি ওষুধি বৃক্ষের চারা রোপনের জন্য দেয়া হয়। 

পাশাপাশি করোনা মহামারী ঠেকাতে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম,মাস্ক পরিধান করা,জনসচেতনতামূলক প্রতিবেদন তার কর্মরত টেলিভিশন জিটিভি এবং প্রিন্ট ও অনলাইনপোর্টালে ধারাবাহিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন সাংবাদিক হৃদয়!এসমস্ত কার্যক্রম ব্যাপক প্রশংসিত হন তিনি ও তার সংগঠনের টিমের সদস্যরা। 

সেই সাথে প্রাণ প্রকৃতি রক্ষায় তাদের এই ভিন্নধর্মী কৌশলের কারণে জাতীয় গণমাধ্যমে ধারাবাহিক শিরোনাম হচ্ছে হৃদয় এবং তার প্রতিষ্ঠা করা সংগঠন জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন'র কার্যক্রমগুলো। হৃদয় দেবনাথ বলেন, প্রতিটি প্রাণি আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বাস্তুসংস্থানের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। 

প্রাণ ও প্রকৃতি আঁকড়ে টিকে আছে আমাদের মানব সভ্যতা। তাই এগুলো রক্ষা করা মানে আমাদের নিজ সভ্যতা রক্ষা করা। কিন্তু বুঝে, না বুঝে প্রাণি হত্যা বন উজার তথাকথিত উন্নয়নের নামে পাহাড় কাটা,ফসলি জমির মাটি দেদারসে বিক্রি করার মাধ্যমে আমরা প্রতিনিয়ত হত্যা করে চলেছি আমাদের ভবিষ্যত। প্রাণি ও প্রকৃতি রক্ষায় একটু হলেও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের এই প্রচেষ্টা।এখন পর্যন্ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসংখ্য বিপন্ন বিলুপ্ত প্রায় পাখি/বন্যপ্রাণী চোরা শিকারিদের হাত থেকে উদ্ধার করে মুক্ত করে দিয়েছেন সাংবাদিক হৃদয় ও তার টিম ।হৃদয় আরো বলেন , প্রাণি ও মানুষের মধ্যে মূল পার্থক্য হচ্ছে মানুষ কথা বলতে পারে। অন্য প্রাণিরা পারে না। 

তাই প্রাণিকুলে মানুষের খেয়ালখুশির কাছে ওরা অসহায়। ফলে মানুষের চরম নির্মমতায় কিংবা পরিবেশের চরম বিপর্যয়েও একটি প্রাণি কোন প্রতিবাদ করতে পারে না। কিন্তু প্রাণির না বলতে পারা সব কষ্ট ও কথাগুলো অনুধাবন করা মানুষের দায়িত্ব। অসহায় প্রাণকে সাহায্য করার কথা প্রতিটি ধর্মেও উল্লেখ আছে। মনে রাখতে হবে, প্রাণির স্বাধীন বিচরণে স্বাভাবিক থাকে পরিবেশের ভারসাম্য। তাই প্রাণি রক্ষা মানে আমাদের সভ্যতা রক্ষা করা।ইতোমধ্যে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন প্রায় ৮৫ টি সফল উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে অদ্যাবদি প্রায় ২১৬ টি বিভিন্ন প্রজাতির বিপন্ন পাখি ও বন্যপ্রাণী চোরা শিকারিদের কাছ থেকে সফলভাবে উদ্ধার করে হাইল হাওরে মুক্ত করেছেন তারা।

এছাড়া ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে বিদ্যুৎপৃষ্ঠে ছাড়াও বিভিন্নভাবে আহত বিভিন্ন প্রজাতির ১০ টি আহত বানর এবং আহত একাধিক কুকুরকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের চিকিৎসকদের সহযোগিতায় সুস্থ করে বনে মুক্ত করেছেন।সংবাদ মাধ্যমে প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র নিয়ে প্রতিবেদন তুলে ধরার পাশাপাশি ব্যাক্তিগত উদ্যোগে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন হাওর অঞ্চলে বসবাসরত মানুষদের পাখি শিকার সম্পর্কে সচেতন করে তুলার পাশাপাশি পাখি শিকার অবাধে বৃক্ষ উজাড় এবং বন্যপ্রাণী হত্যা আইন সম্পর্কেও বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বন্যপ্রাণী আইন সম্পর্কে ধারাবাহিকভাবে ধারণা দিয়ে যাচ্ছেন। 

অতিথি পাখি ও জীববৈচিত্র্য পরিবেশের জন্য কতটা উপকারী সে সম্পর্কেও সংগঠনের লোকদের নিয়ে সচেতন করে তুলার চেষ্টা করে যাচ্ছেন এ তরুণ সাংবাদিক।সম্প্রতি হৃদয় দেবনাথ এর নেতৃত্বে মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর এলাকা থেকে সদ্য ভূমিষ্ঠ ছয়টি মেছো বাঘের বাচ্চা উদ্ধার করেন জীববৈচিত্র্য  সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন টিম । 

এই মেছো বাঘের ছানাগুলোকে পরিচর্যা শেষে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে তার সংগঠন পরে তাদের উপস্থিতিতে এগুলোকে বনে অবমুক্ত করেন বনবিভাগের কর্মকর্তারা।

পরিবেশ ও বিলুপ্তপ্রায় প্রাণি রক্ষায় করণীয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। আর জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সংবাদ মাধ্যমগুলো হতে পারে অন্যতম হাতিয়ার।পাশাপাশি জেলা থেকে উপজেলা এমনকি গ্রাম পর্যায়ে শিক্ষিত যুব সমাজকে সাথে নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করে যাচ্ছি।আশা করছি দ্রুতই পরিবেশ প্রকৃতি নিয়ে তৃণমূল পর্যায় থেকেই প্রতিরোধ গড়ে ওঠবে।আর আমাদের সংগঠন জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশনের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে এটি।প্রতিটি সংবাদ মাধ্যমেরও উচিৎ প্রাণ ও প্রকৃতিকে প্রাধান্য দেয়া। পাশাপাশি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর আরও উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন সাংবাদিক হৃদয়।

প্রকৃতি ও সংরক্ষণ অঞ্চলের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মো.রেজাউল করিম জানান, দীর্ঘদিন ধরে এমনকি এ করোনা মহামারীর চরম ঝুঁকির মধ্যেও সাংবাদিক হৃদয় দেবনাথ এর নেতৃত্বে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন টিমের প্রতিটি সদস্য একের পর এক সফল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশের প্রতিটি কাজে আমরা বনবিভাগ সবসময় ছিলাম এবং আছি।

মৌলভীবাজার জেলাপ্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান,সাংবাদিক হৃদয় এবং তার সংগঠন জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন টিমের কার্যক্রমগুলো নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবী রাখে।প্রত্যেককেই এভাবে এগিয়ে এসে প্রাণ প্রকৃতির রক্ষায় সোচ্চার হওয়া উচিত জানান তিনি।

ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিটের পরিচালক জহির আকন বলেন,সাংবাদিক হৃদয় এবং তার সংগঠন জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন টিম প্রাণ প্রকৃতি রক্ষায় যেভাবে লড়ে যাচ্ছে তা সত্যিই ব্যাতিক্রম।করোনা মহামারীতেও বৃক্ষ রোপন থেকে শুরু করে পাখি শিকার করবে না শর্তে বনবিভাগের চিহ্নিত পাখি শিকারিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন যা বিভিন্ন  গণমাধ্যমের বদৌলতে পড়েছি ।আমরা সব সময় সাংবাদিক হৃদয় এবং তার সংগঠনের পাশে আছি ।

মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম,কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আশেকুল হক,শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা নজরুল ইসলাম,বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আল ইমরান প্রত্যেকেই সাংবাদিক হৃদয়ের নেতৃত্বে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন টিমের কাজের প্রশংসা করে জানান,হৃদয়ের নেতৃত্বে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন টিম নিরলস ধারাবাহিকভাবে যে কাজগুলো করে যাচ্ছে তা সমাজ তথা পরিবেশের জন্য বেশ উপকার হচ্ছে তা নিঃসন্দেহে বলা যায় ।তারা আরো জানান,তাদের সমস্ত কার্যক্রমে আমরা সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি এবং ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে ।তবে হৃদয়ের মতো সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্র থেকে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এ কর্মকর্তারা ।




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close