ই-পেপার শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সুখসাগরে হল্লা
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০, ৯:৫৮ পিএম আপডেট: ৩০.১২.২০২০ ১১:৩১ পিএম  (ভিজিট : ১৩৯২)
সুখসাগরে জমেছে অতিথি পাখিদের হল্লা। দিনাজপুরের প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য লীলাভূমি সুখসাগরে প্রতি শীত মৌসুমে অতিথি হয়ে আসে সুদূর সাইবেরিয়ান পাখিরা। শহরের রাজবাড়ীর পাশঘেঁষা ঐতিহাসিক সুখসাগর দিঘিতে ইতোমধ্যে আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখিরা। এসব পাখির কোলাহলে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিরাটকায় সুখসাগর দিঘি। এতে প্রকৃতিপ্রেমিকদের আনাগোনাসহ পর্যটকদের কাছে এর কদর বেড়েছে।
সুখের সন্ধানে প্রতি শীত মৌসুমে এই সুখসাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি আসে। এসব পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঝাঁক বেঁধে একসঙ্গে আকাশে ওড়ার দৃশ্য বিমোহিত করে দর্শনার্থীদের। তবে গতবারের তুলনায় এবার অতিথি পাখির আগমন কম। তবে স্থানীয়রা জানান, সবেমাত্র আসতে শুরু করেছে পাখি। তুলনায় কম হলেও শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে আসতে থাকবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, সুখসাগরে এবার শ্যালোমেশিনের ইঞ্জিনচালিত নৌকা নেই। নৌকাগুলোর অংশভাগ পানিতে ডুবিয়ে রাখা হয়েছে। তাতে সাময়িকভাবে বিনোদন ব্যাহত হচ্ছে ভ্রমণপিপাসুদের। তবে এবার নৌকা না থাকায় পর্যটকরা অতিথির পাখির কলরব শুনতে পাবে বেশি করে। এতে এবার অতিথি পাখির সংখ্যাও বেশি হবে বলে ধারণা করছে সবাই।
এ ছাড়াও সুখসাগরকে ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে সুখসাগর ইকোপার্ক। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ তথা পরিবেশ উন্নয়নের কারণে পাখির অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে সুখসাগর। এতে প্রতিদিন হাজারও বিভিন্ন পাখির কলরবে মুখরিত হয় সুখসাগর। মুগ্ধ করে প্রকৃতিপ্রেমিক ও পর্যটকদের। কয়েকজন পর্যটক বলেন, শীত এলেই এখানে আসা হয়। অতিথি পাখিরা এসেছে জানতে পেরে চলে এসেছি সুখসাগরে। এখানে অতিথি পাখিরা তাদের কিচিরমিচির শব্দে একটা সুরের পরিবেশ সৃষ্টি করে। তাদের শব্দে তাল মিলিয়ে পরিবারসহ হাঁটতে খুবই ভালো লাগে। সুখসাগর পারের কনফেকশনারী ব্যবসায়ী রাশেদুল ইসলাম জসিম বলেন, এই দিঘিতে প্রতি শীত মৌসুমে হাজারও অতিথি পাখি আসে। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করি পাখিগুলোকে নিরাপদ রাখতে। এবারও অনেক পাখি আসতে শুরু করেছে, আরও আসবে।
তিনি আরও জানান, ঐতিহাসিক সুখসাগর এলাকাটিকে ট্যুরিজম ইকোপার্ক করায় কিছু স্থাপনা নির্মাণ করলেও এখনও তা উদ্বোধন হয়নি। আনুষ্ঠানিকভাবে রেস্টহাউস ও চিত্তবিনোদনের স্থাপনাগুলো চালু হলে পর্যটক আরও বেড়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে সুখসাগর ট্যুরিজম ইকোপার্ক নির্মাণ ও আধুনিকায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এই ঐতিহাসিক সুখসাগর দিনাজপুর শহর থেকে সড়কপথে উত্তর-পূর্ব দিকে ২ কিলোমিটার দূরে রাজবাড়ীর পেছনেই অবস্থিত। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্রমণপিপাসুরা চিত্রবিনোদনের জন্য, পিকনিক বা একটু নিরিবিলিতে সময় কাটাতে এখানে চলে আসেন।









সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close